The ability of these fully aquatic fishes to employ the same structure to produce distinct kinematic patterns in disparate environments suggests that a new behavior has evolved to facilitate movement on land and that anatomical novelty is not a prerequisite for effective terrestrial locomotion
বিবিসি ও অন্যান্য মিডিয়াতে খবরটি বেশ গুরুত্বসহকারে প্রচার করে সাধারণ পাঠকদেরকে এমনভাবে ধারণা দেয়া হয় যে এটি বিবর্তনবাদ তত্ত্বের একটা ‘অকাট্য’ প্রমাণ! বিবিসির Leaping fish give evolution clue শিরোনামে আর্টিকলের কিছু অংশ-
Unlikely looking aerobatics performed by fish have given researchers an insight into how aquatic animals evolved to live on land.বিসিসি’র আর্টিকলে প্রকাশিত জার্নালের বিজ্ঞানীরা মাছের এই লাফালাফির প্রবণতাকে ‘evolutionary snapshot’ বলে আখ্যায়িত করেন! অর্থাৎ মাছ থেকে স্থলচর প্রাণী বিবর্তন প্রক্রিয়ার টাইম স্কেলের সাথে তুলনা করলে এটা হচ্ছে ক্যমেরায় ছবি তোলার ক্লিক করার সময়ের মতো একটি মূহুর্ত (স্ন্যাপশট)! এই গবেষণাপত্রের ব্যাখ্যায় মাছের লাফালাফিকে বিবর্তনবাদের ‘behavioral drive’ হাইপোথিসিসকে সমর্থন করে বলা হয়-
The team said this was an evolutionary snapshot of the transition from living in water to inhabiting land.
This finding supports the “behavioral drive” paradigm of evolution (Mayr, ’63): new behaviors can arise in the absence of obvious morphological specialization and anatomical novelty does not seem to be a prerequisite for the physical demands of the terrestrial environment.এই হাইপোথিসিস অনুযায়ী বিহেভিয়ার বা অভ্যাস/প্রবণতাকে বিবর্তনের পেসমেকার বা মেকানিজম হিসেবে কল্পনা করা হয়। কিন্তু নিও-ডারউইনিজম অনুসারে প্রাকৃতিক নির্বাচন বা ন্যাচারাল সিলেকশন বিবর্তনকে ড্রাইভ করে বা নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। আবার বিহেভিয়ার এবং ন্যাচারাল সিলেকশনকে পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত করা যায়। বিহেভিয়ার হাইপোথিসিস সম্পর্কে ধারণার জন্য-
Behavior has been viewed as a pacemaker of evolutionary change because changes in behavior are thought to expose organisms to novel selection pressures and result in rapid evolution of morphological, life history and physiological traits.এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে বিজ্ঞানীরা স্টাডি করার আগে ধরেই নিয়েছেন যে মাছ থেকে স্থলচর প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার গল্পটি সূর্য উঠার মতো সত্য ঘটনা। এজন্য তাদের মাছের লাফালাফিকে বিবর্তনবাদের সাথে লিঙ্ক করা হয়েছে। কোন্ প্রক্রিয়ায় বিবর্তন হয়েছে সেটা নিয়ে তারা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। এখানে প্রাকৃতিক নির্বাচন নাকি বিহেভিয়ার মডেল কাজ করেছে সেটি নিয়ে তারা কাল্পনিক আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন।
বিহেভিয়ার হাইপোথিসিস বুঝাতে এই স্টাডির বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যাক। মাছের জিনে বাছ-বিচারহীন মিউটেশনের কারণে মাছ লাফালাফি করতে শিখল। প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে এই জাম্প করার অভ্যাসের কারণে মুহূর্তের জন্য ডাঙ্গায় বিচরণ করতে থাকে। এভাবে প্রয়োজনে বা খেলাধুলার কারণে লাফালাফি করতে করতে কালের বিবর্তনে (মিলিয়ন বছর টাইম স্কেলে) মাছের দেহে আস্তে আস্তে পা গজাতে লাগল এবং পরবর্তীতে তা পুরোপুরি উভচর প্রাণীতে বিবর্তিত হয়ে গেল। তারপর সেখান থেকে আস্তে আস্তে স্থলচর সকল প্রাণীর বিবর্তন হতে হতে লাগল। বিহেভিয়ার হাইপোথিসিস অনুযায়ী মাছরা ডাঙ্গায় বিচরণ করার কারণে এদের দেহের গঠন-প্রকৃতি, ফিজিওলজি এবং লাইফ স্টাইলে বিবর্তন ঘটে।
জলচর প্রাণী (মাছ) থেকে কীভাবে স্থলচর প্রাণী বিবর্তিত হলো তার কোন সলিড প্রমাণ বিবর্তনবাদীরা এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনি। ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস হিসেবে যেগুলোকে হাজির করা হয়, সেগুলো অতিমাত্রায় কাল্পনীক। এ প্রসংগে বিবর্তনবাদীরা একসময় সিলেকান্থ নামক বিলুপ্ত মাছের ফসিলকে স্থলচর ও জলচর প্রানীর ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস হিসেবে করে গর্বসহকারে হাজির করত। বই- পুস্তকে এটিকে বিবর্তনের প্রমাণ হিসেবে দেখানো হতো। মজার বিষয় হচ্ছে সেই ৪০০ মিলিয়ন বছর পুরাতন সিলেকান্থ প্রজাতির মাছ আসলে বিলুপ্ত হয়নি! এপর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ বার ধরা পড়েছে। মাছটি বিলুপ্ত ভেবে কল্পনার তুলিতে অনেক কল্প-কাহিনী রচিত হয়েছিল। সিলেকান্থ জীবন্ত ধরার ফলে সব কল্প-কাহিনী মানুষ জেনে যায়। এজন্য এটাকে আর প্রমাণ হিসেবে দেখাতে বিবর্তনবাদীরা লজ্জিত হয়। ইদানিং টিকতালিক (Tiktaalik rosease) নামক বিলুপ্ত মাছের ফসিলকে স্থলচর ও জলচর প্রানীর ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এজন্য ব্যাপকভাবে মিডিয়া প্রচারণা চলছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে বিবর্তনবাদীরা কল্পিত প্রাণীর ছাপকে বিবর্তনবাদের প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়ে টিকতালিক ফসিলকে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে! পায়ের ছাপের প্রকাশিত ‘গবেষণা’ পত্রটি টিকতালিক প্রচারকারীদের জন্য গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে! ভবিষ্যতে এটি নিয়ে বিস্তারিত লিখার ইচ্ছা আছে।
ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিসের ফসিল নিয়ে বিবর্তন মৌলবাদীরা বেশ আতংকের মধ্যে দিন কাটান। প্রায় ১৬০ বছর ধরে স্বপ্নের ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিসের ফসিল সন্ধানে পৃথিবীর যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। সাধারণ যুক্তিবাদের খ্যাতিরে বলা যায় পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রজাতির সংখ্যার চেয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন গুন বেশী “ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস” এর ফসিল থাকার কথা, কেননা বাছ-বিছারহীন মিউটেশনের ফলে পূর্নাংগ প্রাণীতে বিবর্তিত হওয়ার প্রক্রিয়াতে অগণিত ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিসের ফসিল থাকতে হবে। সে হিসেবে মাটি খুঁড়লেই ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস পাওয়ার কথা। কিন্তু কল্পিত “ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস” বা “মিসিং লিঙ্ক” যেন অধরাই থেকে গেছে!
তথ্যসূত্র-
[১] Fish out of water: terrestrial jumping by fully aquatic fishes[২] Leaping fish give evolution clue[৩] The role of behavior in evolution: a search for mechanism
No comments:
Post a Comment