Saturday 8 October 2011

পারসোনা বিউটি পার্লার ইস্যুতে সোচ্চার হওয়া কেন জরুরী?

               
 
বহুল পরিচিত পারসোনা বিউটি পার্লার/স্পা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষে গোপন ক্যামেরা আবিষ্কৃত হয়েছে বলে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি আর গোপন নেই। ব্লগগুলোর সচেতনতার জন্য এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ব্লগে প্রতিবাদ হচ্ছে (বিস্তারিত পড়ুন এখানে)। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ইন্টার্নেটে প্রচারণার চাপে পত্রিকাগুলো দায়সারা গোছের খবর প্রকাশ করে পরোক্ষভাবে পারসোনাকেই সমর্থন দান করেছে! এমনকি কোন কোন পত্রিকা এই পরিস্থিতিতেও পারসোনার হয়ে প্রচারণা করছে (বিস্তারিত - স্পা দেহমনের প্রশান্তির থেরাপী)! মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ খবরটি সেভাবে উঠে না আসায় সাধারণ মানুষ অন্ধকারেই রয়েছে। যারা ইন্টার্নেটে সক্রিয় তাদের অনেকেই আবার তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। নৈতিক অবস্থানের কথা বিবেচনা করে সমর্থনদানের বিষয়টি মোটামুটি তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়-
১। দেশের বেশীরভাগ মানুষই শুধুমাত্র বাঁচার জন্য লড়াই করছেন। ঘাম ঝরিয়ে, মাথায় বোঝা বহন করে আয়-রোজগার করছেন পরিবারে এক মুঠো ভাত তুলে দেয়ার জন্য। পারসোনাদের মত সুন্দর ব্যবসাকারীদের অপকর্মের খবর তাদের বিবেককে শংকিত ও উদ্বেলিত করে না, কেননা শারীরিক সৌন্দর্য্য তাদের কাছে গৌণ। অন্যদিকে যারা পারসোনা বা বিউটি প্রতিষ্ঠানে মানসিক আরাম (এগুলোকে সেবা বলা আমার দৃষ্টিতে অন্যায়) নিয়ে থাকেন, তাদের অনেকে ঘটনাটির সাথে প্রাইভেসি বা ইন্টার্নেটের পর্ণগ্রাফির যোগসূত্রের কথা চিন্তা করে বিবেকের তাড়ণায় সোচ্চার হয়েছেন।
২। ধর্মপ্রাণ সাধারন মানুষ এই ইস্যুতে বিভক্ত। একদল নৈতিকতার কথা চিন্তা করে বেশ সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু এদের বড় অংশ মনে করছেন এটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই, কেননা ধর্মীয়ভাবে বাহ্যিক সৌন্দর্য্যকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে পারসোনার ঘটনাতে মানসিকভাবে খুশী হয়ে মত প্রকাশ করেন এই ভাবে, “যাও কেন ওখানে? বুঝ এবার ঠেলা।”
৩। দেশের সুশীল সমাজের লোকেরা একেবারেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এর যথেষ্ট কারণও আছে!
সুশীলরা নীরব কেন?
কারণ হচ্ছে সুশীলরা কোন না কোন ভাবে নারী ব্যবসার সাথে জড়িত। সুশীল পরিচালিত মিডিয়াগুলোতে তথাকথিত নারীর অধিকার নিয়ে সুশীলদের বেশ সোচ্চার হতে দেখা যায়। টক শোতে তাদের যুক্তির (কুযুক্তি!) বানে টিভি ভেংগে যাওয়ার দশা হয়! কিন্তু পারসোনার মত ইস্যুতে তারা বিস্ময়করভাবে নীরব! অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে এদের অনেকেই এই নারীর অধিকারের নামে এনজিও ব্যবসার সাথে জড়িত। পশ্চিমা বিশ্ব মুসলিম দেশগুলোতে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে তাদের ভাবধারা প্রচার করতে অনেক অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। সুশীলরা ঐ টাকায় ভাগ বসাতে সবসময় তৎপর। তারা যদি সত্যি সত্যি নারীকে সন্মান করে, তাহলে পারসোনার মত প্রচণ্ড ন্যাক্কারজনক ইস্যুতে চুপ থাকতে পারে না। অন্যদিকে সুশীল চালিত মিডিয়াতে প্রগতিশীলতার নামে নারীর শারীরিক সৌন্দর্য্যকে পণ্য হিসেবে প্রমোট করা হচ্ছে। মেয়েদের সৌন্দর্য্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৩৩০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয়। কানিস আলমাস এবং তার মত বিউটিশয়ানদের তথাকথিত ‘মেয়েদেরকে সুন্দর বানানো’ বাংলাদেশে এই ব্যবসারই অংশ। তাই তারা কানিজ আলমাসকে দৃষ্টিকটুভাবে সমর্থন করছে। প্রথম আলো’র মত সুশীল পত্রিকাগুলো ছেলেদের পায়ের সৌন্দর্য নিয়েও বর্তমানে চিন্তিত! এর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যও তারা প্রচারণা চালাচ্ছে! পার্লারে গিয়ে ছেলেরা কীভাবে পায়ের যত্ন (স্পা পেডিকিউর, ফুট ম্যাসাজ) নিতে পারেন, সেজন্য টিপস দেয়া হয়। ছবিটি প্রথম আলোর নকশা পাতা (কানিজ আলমাস যেখানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে অভিমত দেন) থেকে নেয়া।

মাসে একবার পেডিকিউর করতে পারেন- ছবি প্রথম আলো
সুশীলদের আসল রূপ জানতে পড়তে পারেন ‘মদপানের ৭০০০ আবেদন‘ লেখাটি। একজন সুশীল মদ সেবনের সরকারী লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেন এভাবে-
“আমি অসুস্থ। দিনে দু’বেলা মদ খেতে হবে। এ জন্য চাই অনুমতি।”
সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনৈতিকতা ছড়িয়ে পড়েছে। সবগুলোকে একসাথে মোকাবেলা সম্ভবও নয়। তাছাড়া অনৈতিকতার প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও নৈতিকতাগুলো একসূত্রে গাঁথা। পারসোনার ঘটনাটি মূলত এলিট সমাজের ঘটনা, কিন্তু সুদূরপ্রসারী দিক বিবেচনা করলে এর নেতিবাচক প্রভাব পুরো সমাজের উপর পড়বে। তাই নৈতিকভাবে পারসোনার মত চরম অনৈতিক ইস্যুতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, হতে হবে সক্রিয়, সোচ্চার।

মাছের লাফালাফিও ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদকে প্রমাণ করে!


ডারউইনবাদীরা এতই মরিয়া যে কল্পিত প্রাণীর পায়ের ছাপকেও ব্যবহার করছে বিবর্তনবাদের প্রমাণ হিসেবে! এখন শুরু হয়েছে মাছের লাফালাফিকে নিয়েও! জীবন্ত মাছকে পানি থেকে ভূমিতে রাখলে লাফালাফি করতে দেখা যায়। মাছের এই লাফালাফির প্রবণতাকে ‘জল থেকে স্থলচর প্রাণীর বিবর্তন’ এর কল্পকাহিনীর ‘অকাট্য প্রমাণ’ হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে!
গত সপ্তাহে Journal of Eperimental Zooloy-তে ‘Fish out of water: terrestrial jumping by fully aquatic fishes’ শিরোনামে একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এই প্রকাশিত জার্নাল পেপারে ছয় প্রজাতির মাছের লাফ দেয়ার দৃশ্য নিয়ে স্টাডি করা হয়। লাফ দেয়ার প্রতিটি মূহুর্ত অত্যাধুনিক ক্যমেরার সাহায্য ধারণ করা হয়। এই স্টাডিতে কিলিফিস (যেমন Gambusia affinis) ও নন-কিলিফিস (যেমন Zebrafish) ব্যবহার করা হয়। কিলিফিসগুলো (Killifish) সাধারণত ম্যানগ্রোভ এলাকায় পাওয়া যায়। এরা শিকারী প্রাণী থেকে আত্নরক্ষা বা অন্যকোন কারণে লাফ দিয়ে ডাঙ্গায় উঠে, আবার কিছুক্ষণ পরে লাফ দিয়ে পানিতে ফিরে আসে। এগোত্রের কিছু মাছ আছে যেগুলো আর্দ্র অবস্থায় ডাঙ্গায় ৬০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। অন্যদিকে নন-কিলিফিসগুলো (Non-killifish) মিঠা পানির মাছ, যারা সাধারণত কিলিফিসের মত ইচ্ছামূলক লাফ দেয় না। ক্যমেরায় ধারণ করা ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় মসকিটোফিস (Gambusia affinis) ও জেব্রাফিস (Danio rerio) ডাঙ্গায় বা কোন শক্ত সারফেসে একই প্রক্রিয়ায় লেজের উপর ভিত্তি করে শুন্যে লাফ দেয়। মসকিটোফিস লাফ দেয়ার সময় প্রায় ৪৬ ডিগ্রী বিচ্যুতি তৈরী হয়, অন্যদিকে জেব্রাফিসের ক্ষেত্রে হয় ৭৮ ডিগ্রী। লাফ দেয়ার সময় কম বিচ্যুতি তৈরী হওয়ার কারণে মসকিটোফিস জেব্রাফিসের চেয়ে এক লাফে বেশী দূরত্ব অতিক্রম করে। এই লাফালাফি করার ঘটনাও বিবর্তনবাদ তত্ত্বের সাথে লিঙ্ক করা হয়। এতে অনুমান করা হয় যে এই লাফালাফির প্রবণতা বা অভ্যাসের ফলে মাছ থেকে স্থলচর প্রাণী বিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এই জার্নাল পেপারের সারাংশের একটি অংশ-
The ability of these fully aquatic fishes to employ the same structure to produce distinct kinematic patterns in disparate environments suggests that a new behavior has evolved to facilitate movement on land and that anatomical novelty is not a prerequisite for effective terrestrial locomotion

বিবিসি ও অন্যান্য মিডিয়াতে খবরটি বেশ গুরুত্বসহকারে প্রচার করে সাধারণ পাঠকদেরকে এমনভাবে ধারণা দেয়া হয় যে এটি বিবর্তনবাদ তত্ত্বের একটা ‘অকাট্য’ প্রমাণ! বিবিসির Leaping fish give evolution clue শিরোনামে আর্টিকলের কিছু অংশ-
Unlikely looking aerobatics performed by fish have given researchers an insight into how aquatic animals evolved to live on land.
The team said this was an evolutionary snapshot of the transition from living in water to inhabiting land.
বিসিসি’র আর্টিকলে প্রকাশিত জার্নালের বিজ্ঞানীরা মাছের এই লাফালাফির প্রবণতাকে ‘evolutionary snapshot’ বলে আখ্যায়িত করেন! অর্থাৎ মাছ থেকে স্থলচর প্রাণী বিবর্তন প্রক্রিয়ার টাইম স্কেলের সাথে তুলনা করলে এটা হচ্ছে ক্যমেরায় ছবি তোলার ক্লিক করার সময়ের মতো একটি মূহুর্ত (স্ন্যাপশট)! এই গবেষণাপত্রের ব্যাখ্যায় মাছের লাফালাফিকে বিবর্তনবাদের ‘behavioral drive’ হাইপোথিসিসকে সমর্থন করে বলা হয়-
This finding supports the “behavioral drive” paradigm of evolution (Mayr, ’63): new behaviors can arise in the absence of obvious morphological specialization and anatomical novelty does not seem to be a prerequisite for the physical demands of the terrestrial environment.
এই হাইপোথিসিস অনুযায়ী বিহেভিয়ার বা অভ্যাস/প্রবণতাকে বিবর্তনের পেসমেকার বা মেকানিজম হিসেবে কল্পনা করা হয়। কিন্তু নিও-ডারউইনিজম অনুসারে প্রাকৃতিক নির্বাচন বা ন্যাচারাল সিলেকশন বিবর্তনকে ড্রাইভ করে বা নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। আবার বিহেভিয়ার এবং ন্যাচারাল সিলেকশনকে পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত করা যায়। বিহেভিয়ার হাইপোথিসিস সম্পর্কে ধারণার জন্য-
Behavior has been viewed as a pacemaker of evolutionary change because changes in behavior are thought to expose organisms to novel selection pressures and result in rapid evolution of morphological, life history and physiological traits.
এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে বিজ্ঞানীরা স্টাডি করার আগে ধরেই নিয়েছেন যে মাছ থেকে স্থলচর প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার গল্পটি সূর্য উঠার মতো সত্য ঘটনা। এজন্য তাদের মাছের লাফালাফিকে বিবর্তনবাদের সাথে লিঙ্ক করা হয়েছে। কোন্‌ প্রক্রিয়ায় বিবর্তন হয়েছে সেটা নিয়ে তারা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। এখানে প্রাকৃতিক নির্বাচন নাকি বিহেভিয়ার মডেল কাজ করেছে সেটি নিয়ে তারা কাল্পনিক আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন।
বিহেভিয়ার হাইপোথিসিস বুঝাতে এই স্টাডির বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যাক। মাছের জিনে বাছ-বিচারহীন মিউটেশনের কারণে মাছ লাফালাফি করতে শিখল। প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে এই জাম্প করার অভ্যাসের কারণে মুহূর্তের জন্য ডাঙ্গায় বিচরণ করতে থাকে। এভাবে প্রয়োজনে বা খেলাধুলার কারণে লাফালাফি করতে করতে কালের বিবর্তনে (মিলিয়ন বছর টাইম স্কেলে) মাছের দেহে আস্তে আস্তে পা গজাতে লাগল এবং পরবর্তীতে তা পুরোপুরি উভচর প্রাণীতে বিবর্তিত হয়ে গেল। তারপর সেখান থেকে আস্তে আস্তে স্থলচর সকল প্রাণীর বিবর্তন হতে হতে লাগল। বিহেভিয়ার হাইপোথিসিস অনুযায়ী মাছরা ডাঙ্গায় বিচরণ করার কারণে এদের দেহের গঠন-প্রকৃতি, ফিজিওলজি এবং লাইফ স্টাইলে বিবর্তন ঘটে।
জলচর প্রাণী (মাছ) থেকে কীভাবে স্থলচর প্রাণী বিবর্তিত হলো তার কোন সলিড প্রমাণ বিবর্তনবাদীরা এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনি। ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস হিসেবে যেগুলোকে হাজির করা হয়, সেগুলো অতিমাত্রায় কাল্পনীক। এ প্রসংগে বিবর্তনবাদীরা একসময় সিলেকান্থ নামক বিলুপ্ত মাছের ফসিলকে স্থলচর ও জলচর প্রানীর ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস হিসেবে করে গর্বসহকারে হাজির করত। বই- পুস্তকে এটিকে বিবর্তনের প্রমাণ হিসেবে দেখানো হতো। মজার বিষয় হচ্ছে সেই ৪০০ মিলিয়ন বছর পুরাতন সিলেকান্থ প্রজাতির মাছ আসলে বিলুপ্ত হয়নি! এপর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ বার ধরা পড়েছে। মাছটি বিলুপ্ত ভেবে কল্পনার তুলিতে অনেক কল্প-কাহিনী রচিত হয়েছিল। সিলেকান্থ জীবন্ত ধরার ফলে সব কল্প-কাহিনী মানুষ জেনে যায়। এজন্য এটাকে আর প্রমাণ হিসেবে দেখাতে বিবর্তনবাদীরা লজ্জিত হয়। ইদানিং টিকতালিক (Tiktaalik rosease) নামক বিলুপ্ত মাছের ফসিলকে স্থলচর ও জলচর প্রানীর ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এজন্য ব্যাপকভাবে মিডিয়া প্রচারণা চলছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে বিবর্তনবাদীরা কল্পিত প্রাণীর ছাপকে বিবর্তনবাদের প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়ে টিকতালিক ফসিলকে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে! পায়ের ছাপের প্রকাশিত ‘গবেষণা’ পত্রটি টিকতালিক প্রচারকারীদের জন্য গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে! ভবিষ্যতে এটি নিয়ে বিস্তারিত লিখার ইচ্ছা আছে।

ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিসের ফসিল নিয়ে বিবর্তন মৌলবাদীরা বেশ আতংকের মধ্যে দিন কাটান। প্রায় ১৬০ বছর ধরে স্বপ্নের ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিসের ফসিল সন্ধানে পৃথিবীর যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। সাধারণ যুক্তিবাদের খ্যাতিরে বলা যায় পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রজাতির সংখ্যার চেয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন গুন বেশী “ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস” এর ফসিল থাকার কথা, কেননা বাছ-বিছারহীন মিউটেশনের ফলে পূর্নাংগ প্রাণীতে বিবর্তিত হওয়ার প্রক্রিয়াতে অগণিত ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিসের ফসিল থাকতে হবে। সে হিসেবে মাটি খুঁড়লেই ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস পাওয়ার কথা। কিন্তু কল্পিত “ট্রাঞ্জিশনাল স্পিসিস” বা “মিসিং লিঙ্ক” যেন অধরাই থেকে গেছে!
তথ্যসূত্র-
[১] Fish out of water: terrestrial jumping by fully aquatic fishes[২] Leaping fish give evolution clue[৩] The role of behavior in evolution: a search for mechanism

বিজ্ঞান, বিবর্তনবাদ ও নাস্তিকতা

 

 

আস্তিকতার মত নাস্তিকতাও হচ্ছে মূলত একটি ধর্ম-বিশ্বাস। ব্যক্তিগত জীবনে অমায়িক ধার্মিক লোকের সাথে যেমন সাক্ষাত হয়েছে, তেমনিভাবে ভাল মনের ও রুচিশীল নাস্তিকদের সাথেও পরিচয় রয়েছে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের সাথে আমরা কম-বেশী পরিচিত। কিন্তু নাস্তিক মৌলবাদীদের সম্পর্কে অনেকের ধারণা তেমন স্বচ্ছ নয়। এই মৌলবাদী নাস্তিক গোষ্ঠী বা ধর্ম-বিদ্বেষী (মূলত ইসলাম) মুক্তমনারা ‘বিজ্ঞান’ ও ‘যুক্তিবাদ’ নিয়ে বেশ মাতামাতি করে।

তাদের এত বিজ্ঞান-প্রীতির কারণে সাধারণ মানুষের মনে ধারণা জন্মাতে পারে যে বেশীরভাগ বিজ্ঞানীরা হয়তবা তাদের ঘরানার নাস্তিক। এই দাবীর ভিত্তি হচ্ছে চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে যারা বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করে তারা সবাই নাস্তিক – কখনো তারা আস্তিক হতে পারে না। সম্প্রতি নাস্তিক মৌলবাদীদের গুরু অক্সফোর্ডের বায়োলজির প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্স প্রি-স্কুলের পাঁচ বছরের শিশুদেরকেও যাতে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব শিখানো হয় এবং তা কারিকুলামের অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রচার অভিযান শুরু করেছেন!

ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব বর্তমান বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের অন্যতম বিষয়। তাই ধর্ম-বিদ্বেষী (মূলত ইসলাম) মুক্তমনাদের মতে যারা এ তত্ত্ব নিয়ে কাজ করবে বা বিশ্বাস করবে তারা সবাই এমনি এমনি নাস্তিক হয়ে যাবে! তাদের সংকীর্ণ ভাবধারার একটি

বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অনুসারে পৃথিবীতে সমস্ত জীবজগতের আবির্ভাব হয়েছে একটি সরল এককোষী জীব থেকে – যা “সাধারণ পূর্বপুরুষ” নামে পরিচিত। আর এই এককোষী ব্যাক্টেরিয়ার মতো জীবের আবির্ভাব নাকি হয়েছিল কেমিক্যাল বিবর্তন প্রক্রিয়ায়। প্রাকৃতিক নির্বাচনের (যেখানে যারা যোগ্য তারা পরিবেশে উদ্দেশ্যহীনভাবে টিকে থাকে; অন্যদিকে দুর্বল বা অনুপোযুক্তদের বিলুপ্তি হয়) মাধ্যমে কালের প্রক্রিয়ায় (মিলিয়ন বছর টাইম স্কেলে) উদ্দেশ্যহীন ও দৈবক্রমে অজৈব পদার্থ থেকে জীবের মৌলিক উপাদান- ডিএনএ ও প্রোটিন তৈরী হয়। তারপর এগুলো মিলিয়ন-মিলিয়ন বছর ধরে ট্রায়াল-এন্ড-এরর (Trial and error) প্রক্রিয়ায় কোনক্রমে হঠাৎ করে জোড়া-তালি লেগে হয়ে যায় এককোষী ব্যাক্টেরিয়ার মতো জীব বা আমাদের আদি-পিতা! সেই এককোষী জীব থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে উদ্দেশ্যহীনভাবে ও দৈবক্রমে অপরিকল্পিত মিউটেশনের (জীনগত পরিবর্তন) মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরী হয়েছে পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতি। ডারউইনের সময়ে বিজ্ঞানের অগ্রগতি আজকের মতো ছিল না। সে সময় জীবকোষকে অত্যন্ত সরল মনে করা হতো – ডিএনএ আবিষ্কার তো দূরের কথা। তাই বিজ্ঞানী হিসেবে তার তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হিসেবে ডারউইন বলে গেছেন যে তার তত্ত্ব প্রমাণের জন্য জীব সৃষ্টির পর্যায়ক্রমিক ধাপ বা ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজ দেখাতে হবে। প্রায় ১৬০ বছর ধরে এই স্বপ্নের ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজের ফসিল সন্ধানে পৃথিবীর যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কল্পিত “ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজ” বা “মিসিং লিঙ্ক” এর টিকিটিরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। যুক্তিবাদের খ্যাতিরে বলা যায় এদের সংখ্যা পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রজাতির সংখ্যা থেকে অনেক অনেক গুণ বেশী থাকার কথা। আর তাই বর্তমানে বিবর্তনবাদীরা ফসিল আলোচনা থেকে বিরত থাকতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। আর ব্যাখ্যা হিসেবে দেখায় নিও-ডারউইনিজমকে – বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে জেনেটিক সিকোয়েন্সের মিলের সামঞ্জস্যতাকে (genetic relatedness or homology)।

মিসিং লিঙ্ক বা ট্রান্সজিশনাল স্পিসিস নিয়ে বিবর্তনবাদীরা বেশ বেকাদায় থাকেন। ‘ Ida’ নামক ফসিল আবিষ্কারের (২০০৯) পর সমস্ত পৃথিবীর মিডিয়া জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। । ইডা আবিষ্কারের পরে এটাকে “Eight Wonder of the World” বা "Our Mona Lisa" বলে ঘোষণা করা হয়। বিবর্তনবাদ মিডিয়াতে জনপ্রিয় করতে Sir David Attenborough এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইডা আবিষ্কারের পর তিনি অত্যন্ত আবেগ তাড়িত হয়ে বলেন যে, এখন থেকে আর কেউ বলতে পারবে না যে মিসিং লিঙ্ক নেই! আর কেউ যদি প্রমান চায় তবে ইডা’কে যেন হাজির করা হয়। এবং সাথে সাথে মিডিয়াতে বলা হলো যে ইডা ফসিল সব ধর্মকে মিথ্যা প্রমানিত করল (ভিডিও দেখুন)! পরে দেখা গেল ঐটি কোন মিসিং লিঙ্ক নয়, বরং ল্যামুর নামক জন্তু ('Eighth wonder' Ida is not related to humans, claim scientists” তাহলে এখন ধর্মের কি হবে?



বিজ্ঞান হচ্ছে সদা পরিবর্তনশীল একটি বিষয় - প্রবাহমান নদীর মতো – বিশেষ করে যে সকল বিষয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা লব্ধ উপাত্ত দিয়ে সঠিক বা সার্বিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায় না। এটাই বিজ্ঞানের আসল সৌন্দর্য। এটা কোন ভাবধারার অন্তর্গত সম্প্রদায়ের (নাস্তিক) সম্পত্তি নয়। বিজ্ঞানের বিকাশে মুসলিম, খ্রীষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী, চাইনিজ, আস্তিক, নাস্তিক এবং সমস্ত মানব সভ্যাতার অবদান আছে। যেখানে বিবর্তনবাদ তত্ত্বের-ই সদা বিবর্তন হচ্ছে, সেখানে এই পরিবর্তনশীল মতবাদকে ভিত্তি ধরে বিবর্তন-মৌলবাদী (নাস্তিকেরা) বিজ্ঞানের খোলসে অপরিবর্তনশীল ধর্মকে ভুল প্রমাণে আপ্রাণ চেষ্টা করে। আর এটা করা হয় জনপ্রিয় পাবলিক মিডিয়ার কল্যাণে। বিজ্ঞান ও ধর্মের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাই দুটোকে কখনো একই মাপ-কাঠিতে বিবেচনা করা যায় না – যা কিনা হবে মানুষ ও গাছ-পালাকে একই মানদন্ডে তুলনা করার সামিল।

অতিসাধারণ অর্থে ‘বিবর্তন’ বলতে বুঝায় সময়ের সাথে সাথে কোন কিছুর পরিবর্তন। এ অর্থে এন্টিবায়োটিক সহনশীলতা (Antibiotic resistance) অথবা ভাইরাসের (যেমন ফ্লু বা এইচআইভি) মিউটেশনকে বিবর্তন (evolution) বলা যায়। কিন্তু এ-ধরণের বিবর্তন দিয়ে ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদকে ফ্যাক্ট বা ধ্রুব-সত্য হিসেবে প্রমাণ করা যায় না। কিন্তু বিবর্তনবাদীরা এ-ধরণের উদাহরণ দিয়েই জনসাধারণকে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব সম্পর্কে সম্যক ধরণা দিয়ে থাকে! মজার বিষয় হচ্ছে ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদকে ‘সূর্য উঠা বা অস্ত যাওয়ার মতো সত্য’ প্রমাণে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করা হচ্ছে। বিবর্তনবাদকে স্রেফ বিজ্ঞান হিসেবে ধরলে সেখানে প্রশ্ন করার অবকাশ আছে। প্রসঙ্গত, “জড় পদার্থ থেকেই প্রাণের উৎপত্তি” – এ বিশ্বাস প্রায় ২০০০ বছর পর্যন্ত বিজ্ঞানী-মহলে প্রতিষ্ঠিত ছিল। উনবিংশ শতকের শেষের দিকে ডারউইনের “প্রজাতির উৎপত্তি” প্রকাশের পাঁচ বছর পরে বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর একটি অতি সাধারণ পরীক্ষার (যা বকনল পরীক্ষা নামে পরিচিত) মাধ্যমে হাজার বছরের বিশ্বাসকে চূর্ণ করে দেন। কিন্ত বিবর্তনবাদ নিয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন করলে বিবর্তন মৌলবাদীরা তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন। রাগ প্রশমনে সাধারণত তারা প্রশ্নকারীর অজ্ঞতাকে ফুটিয়ে তোলার অপচেষ্টা করেন। তাদের কিছু কমন শব্দগুচ্ছ হচ্ছে- You are such an ignorant, You don’t know anything about biology, Are all those thousands of famous scientists wrong? বিবর্তনবাদ যদি বিজ্ঞান-ই হয়ে থাকে তবে তো এত আবেগ-প্রবণ হওয়ার কারণ নেই। তার মানে বিবর্তনবাদ কি নাস্তিকতা নামক ধর্মের ভিত্তি?

বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে বস্তুবাদী (নাস্তিক)/বিবর্তনবাদী ভাবধারা প্রচার ও প্রসারের মূলে রয়েছে মধ্যযুগীয় চার্চ-বাস্তুবাদী আইডিওলজিক্যাল সংঘর্ষ। চার্চের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারণে বিজ্ঞান ও মুক্তচিন্তার অগ্রযাত্রা ব্যহত হচ্ছিল। গ্যালিলিওকে তাঁর বৈজ্ঞানিক মতবাদের জন্য শাস্তি দেয়া হয়েছিল। নাস্তিকেরা বিজ্ঞানের নামে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে গ্যালিলিওর ইস্যুটিকে ব্যবহার করছে নাস্তিকতার ভাবধারা প্রচারে। চার্চ যখন-ই নড়াচড়া শুরু করে, বস্তুবাদীরা গ্যালিলিও – সমতল পৃথিবী – ভূ-কেন্দ্রিক মহাবিশ্ব – ছয় হাজার বছরের পৃথিবী – ইত্যাদি দিয়ে তাদেরকে দাবিয়ে রাখে। যার ফলে সমাজে চার্চের বা ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মের প্রভাব নেই বললেই চলে। এজন্য চার্চ বা ক্রিস্টিয়ান ধর্ম তাদের কাছে গৌণ।

মজার তথ্য- যে গ্যালিলিওকে নিয়ে নাস্তিকেরা এত ব্যবসা করছে, সেই গ্যালিলিও কিনা গডে বিশ্বাসী রোমান ক্যাথলিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন! বিবাহ বহির্ভূতভাবে জন্ম নেওয়া তার দুই কন্যাকে বিয়ে দিতে পারবেন না বিধায় তাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করেন। পরবর্তীতে মেয়েরা চার্চের পাদ্রী হয়েছিলেন। (সূত্র)


বিবর্তনবাদী/মুক্তমনাদের বর্তমানে অন্যতম টার্গেট হচ্ছে ইসলাম। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে গ্যালিলিও বা খ্রীষ্টান ধর্মের ইস্যুকে এখন তারা মুসলিমদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আবার অন্যদিকে সাধারণ মুসলিমদের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে বিবর্তন-নামীয় ধর্ম-বিশ্বাসকে বিজ্ঞানের আবরণে ব্যবসা করার খ্যাতিরে কয়েকজন মুসলিম নামধারী আরব বিজ্ঞানীকে বিবর্তনবাদের কর্ণধারও বানিয়ে দেয়; কেননা তারা নাকি ডারউইনের অনেক আগে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছিলেন!

ইদানিং রাখ-ঢাক না রেখেই নাস্তিক মৌলবাদীরা তাদের বিবর্তনবাদ নামক ধর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন অক্সফোর্ডের বায়োলজির প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্স। তিনি বিজ্ঞানের খোলসে নাস্তিকতার বাস ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন – যার একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব।



বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনবাদ নিয়ে প্রশ্ন করে এমন অনেক বড় মাপের বিজ্ঞানী রয়েছেন। এই লিঙ্কে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১০০০ বিজ্ঞানীর লিস্ট দেখতে পাবেন যারা ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। এদের মধ্যে অনেকে খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজির প্রফেসর ও প্রফেসর এমেরিটাস আছেন।


বিবর্তন-মৌলবাদীরা এজন্য তাদেরকে চার্চের মিশনারিজ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশেষ বিনোদন লাভ করেন! এটা একটি অতিপ্রাচীন ও সহজ অস্ত্র। বিবর্তনবাদ-মৌলবাদীদের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী বিবর্তনবাদে অবিশ্বাসী বা সংশয়বাদীরা হচ্ছে গডে বিশ্বাসী আস্তিক! বিজ্ঞানকে তারা নিজেরদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেন। এজন্য এরা অনেক সময় এতই আবেগী হয় যে বিবর্তনবাদে প্রশ্নকারী বিজ্ঞানীদেরকে ক্রিমিনাল হিসেবেও গণ্য করে!

কিন্তু তারা ভুলে যান যে বর্তমান সময়ের বিবর্তিত-বিবর্তনবাদ তত্ত্বের (নিও-ডারউইনিজম) ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে ক্যারোলাস লিনিয়াসের (Carolus Linnaeus) জীবজগতের শ্রেনীবিন্যাসের উপর। এই শ্রেনীবিন্যাস করা হয়েছে জীবের বাহ্যিক মিলের ভিত্তিতে। আর তিনি এই যথেষ্ট শ্রমসাধ্য কাজ করেছিলেন গডের মহিমা (The Earth's creation is the glory of God, as seen from the works of Nature by Man alone. The study of nature would reveal the Divine Order of God's creation, and it was the naturalist's task to construct a "natural classification" that would reveal this Order in the universe.) তুলে ধরার জন্য! (সূত্র)


সারকথা হচ্ছে- বিজ্ঞান ও ধর্ম-বিশ্বাস দুটো ভিন্ন বিষয় যার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। কিন্তু নাস্তিকেরা তাদের ভাবধারা সমাজে আরোপ করতে বিজ্ঞানের মুখোশ ব্যবহার করছেন।

মন্তব্য


সারকথা হচ্ছে- বিজ্ঞান ও ধর্ম-বিশ্বাস দুটো ভিন্ন বিষয় যার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। কিন্তু আস্তিকেরা তাদের ভাবধারা সমাজে আরোপ করতে ধর্মের মুখোশ ব্যবহার করছেন।

হামিদ ভাই, ঐটা কিন্তু আমার কথা না। আসল উদ্ধতি হচ্ছ-

সারকথা হচ্ছে- বিজ্ঞান ও ধর্ম-বিশ্বাস দুটো ভিন্ন বিষয় যার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। কিন্তু নাস্তিকেরা তাদের ভাবধারা সমাজে আরোপ করতে বিজ্ঞানের মুখোশ ব্যবহার করছেন।

****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

সারকথা হচ্ছে- বিজ্ঞান ও ধর্ম-বিশ্বাস দুটো ভিন্ন বিষয় যার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। কিন্তু আস্তিকেরা তাদের ভাবধারা সমাজে আরোপ করতে ধর্মের মুখোশ ব্যবহার করছে

সরোয়ার ভাই, ছাইড়া দেন। উনার আবার বিবর্তনবাদের প্রতি বিশেষ টান আছে। প্রো-পিক দেখেন না? Laughing out loud

বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন হলে নাস্তিক অটো বিলোপ হয়া যাবে। এরা সাধারণ মানুষকে নানা রকমের গোজামিল দিয়ে বিভ্রান্ত করে কারন এরা নিজেরাই বিভ্রান্ত । ভালো জানা কারো সামনে পরলে এদের অবস্তা দেখার মত হয়।

ব্যাপারটা সেরকমই। সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে বিজ্ঞানের মোড়কে নাস্তিকতা প্রচার করা হচ্ছে। আপনাকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

@ কয়েকমাস আগে ইউটিউবে দেখলাম, পনটিফিকাল জর্জিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ডারউইনিষ্টদের আয়োজিত এক সেমিনারে তার্কির ওকতার বাবুয়ানা নামক একজন ব্রেইন সার্জন ট্রান্জিশনাল ফর্ম দেখতে চেয়েছে বলে দেখলাম, কারো গালে জুতা মারলে যে অভিব্যক্তি হয় তার চাইতেও খারাপ অভিব্যক্তি ধরা পড়েছে ডারউইনিষ্টদের। বেচারা ওকতার বাবুয়ানাকে মাইক কেড়ে নিয়ে, পাগল আখ্যা দিয়ে সম্মেলন কেন্দ্র থেকে জোর করে বের দেয়া হয়। ডকিন্স সাহেবও দেখলাম, বাধ্য হয়ে মলিক্যুলার বায়োলজি; ডি,এন,এ ইত্যাদি হতে ইন্টেলিজেন্স ডিজাইনের ব্যপারটা অস্বীকার করতে পারেননি। তবে, যেহেতু বাইবেলে ভূল রয়েছে সেহেতু বিবর্তনবাদ সত্য এরকম ব্যাখ্যা করলে যেহেতু বাইবেল ভূল সেহতু মহাভারত সত্য বলা যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি কোনো পোষা পাখি নাকি? যেমন শেখাবে বুলি সেভাবেই ঠোঁট নেড়ে যাবো

আমিও ভিডিওটা দেখেছি। যুক্তির কথা বললে বিবর্তন মৌলবাদীরা তেড়ে আসে!
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

যুক্তিবাদ দিয়েই কি নাস্তিকতা প্রমান করা যায়? এর উত্তর জানুন বিংশ শতাব্ধীর নাস্তিকতার গুরু এন্থনি ফ্লু (Anthony Flew)-এর কাছ থেকে। তিনি তার যুক্তিবাদের দূর্বলতা বুঝতে পেরে নিজস্ব ভাবধারা পরিবর্তন করে আস্তিক হয়ে গেছেন (বিশেষ কোন ধর্মে দীক্ষিত হননি এখনও)! সেটা কিন্তু যুক্তিবাদের উপর ভিত্তি করেই।

Anthony Flew, যিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন গডের অনস্তিত্ব প্রমাণে, যার অন্যতম ভিত্তি ছিল বিবর্তনবাদ। তিনি ছিলেন Evolutionary ethics, Atheistic humanism এর স্পিরিচুয়াল গুরু; নাস্তিক মৌলবাদীদের অশ্রুজলে ভাসিয়ে শেষ বয়সে তার বোধদয় ঘটে যা কিনা তিনি ঘোষণা করেছেন এই বই প্রকাশ করে, “There is a God: How the World's Most Notorious Atheist Changed His Mind.” (2007)। নাস্তিকতা প্রসারে এন্থনি ফ্লু রচিত কিছু বিখ্যাত বই-

• Hume's Philosophy of Belief (1961)
• God and Philosophy (1966)
Evolutionary Ethics (1967)
• Crime or Disease (1973)
Darwinian Evolution (1984)
• The Presumption of Atheism (1976). reprinted as God, Freedom and Immortality: A Critical Analysis. (1984)
• God: A Critical Inquiry (1986) - reprint of God and Philosophy (1966) with new introduction
• David Hume: Philosopher of Moral Science (1986) Oxford: Basil Blackwell.
Does God Exist?: A Believer and an Atheist Debate (1991) with Terry L. Miethe
Atheistic Humanism (1993)
Does God Exist: The Craig-Flew Debate (2003) with William Lane Craig
There is a God: How the World's Most Notorious Atheist Changed His Mind (2007)

Anthony Flew এর সাক্ষাতকার এনজয় করুনঃ



****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

@এম সরোয়ার হোসেন,
এন্থনি সাহেব না হয় আস্তিক হয়ে গেলেন, কিন্তু তার খপ্পরে পড়ে যারা নাস্তিক হয়েছে তাদের কী হবে?
-সাদাত

এজন্য তার পুরাতন সাগরেদরা প্রমান করার চেষ্টা করছে যে তার ভাবধারাগত পরিবর্তন বৃদ্ধ বয়সের ভীমরতি বলে! Laughing out loud
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

@এম সরোয়ার হোসেন,
আশা করি একটা জমজমাট বিতর্ক হবে।
-সাদাত


সম্প্রতি নাস্তিক মৌলবাদীদের গুরু অক্সফোর্ডের বায়োলজির প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্স প্রি-স্কুলের পাঁচ বছরের শিশুদেরকেও যাতে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব শিখানো হয় এবং তা কারিকুলামের অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রচার অভিযান শুরু করেছেন!

বিবর্তনবাদ পড়ালে কি সমস্যা। যতদুর জানি ইউরোপের ম্যাক্সিমাম দেশের স্কুলের পাঠ্যসূচিতে এটা পড়া বাধ্যতামূলক। এতে করে কি ইউরোপে চার্চের সংখ্যা কমে গেছে!!??! বা চার্চে যাওয়া কি বন্ধ হয়ে গেছে। ইটালী খোদ ভ্যাটিকান যার পেটের মধ্যে সেখানকার স্কুল পাঠ্যসূচিতে ডারউইনের বিবর্তনবাদ পড়ায়। এতে করে কি চার্চপন্থী ডান দল ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়ে গেছে?? সেই কবে একবার বামরা ক্ষমতায় আসছিল তার পর আর খবর নেই। শক্তিশালী বাম ঘরনার উত্তর ইটালীতেও এবার ডানরা হানা দিছে!!! আসলে কোন মতবাদ নিয়ে পড়াশোনা করা খারাপ কিছু না। আর না পড়লে তো কানের খুজে চিলের পিছনে ছুটতে হবে।

যাই হোক, এইবার কারলোস লিন্নেউসের গার্ডেনের ছবি দেখেন। বিজ্ঞানের ছাত্রদের একবার হলেও উনার পরামর্শ অনুযায়ী বাগানটা দেখতে যাওয়া উচিত:



উনার গার্ডেনটা পাবেন এখানে:

আপনার তথ্যপূর্ন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। যেকোন মতবাদ স্কুলে পড়ানো যেতে পারে। তাই বলে পাঁচ বছর বয়েসি বাচ্চাদের! ডারইউনের ২০০ বছর জন্ম বার্ষিকীতে স্কুলের ছোট বাচ্চাদের বিবর্তনবাদ পড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। অবশেষে তা বাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আবার এই প্রচারণা শুরু হয়েছে। এখানে বিজ্ঞানের চেয়ে ভাবধারাগত প্রচারে বেশ মরিয়া।

আপনার কথা মত তাহলে তো প্রি-স্কুলের পাঁচ বছর বয়সি বাচ্চাদের পাঠ্যসূচিতেও কোয়ান্টম তত্ত্ব, ফিজিক্সে সব সূত্রও যোগ করা উচিত, তাই না?
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।


আপনার কথা মত তাহলে তো প্রি-স্কুলের পাঁচ বছর বয়সি বাচ্চাদের পাঠ্যসূচিতেও কোয়ান্টম তত্ত্ব, ফিজিক্সে সব সূত্রও যোগ করা উচিত, তাই না?


ভাল বলছেন। কি সৌভাগ্য হবে বাচ্চাদের!
==========================================================
-> সাম্প্রদায়িক কথা বললেই সাম্প্রদায়িকতা না, কে বলছে সেইটাই গুরুত্বপূর্ণ!
-> ইসলাম= জামাত-শিবির, প্রচারে ফায়দা আছে!

তাহলে বাচ্চারা স্কুলের যাওয়ার আগেই একেকটা আইনস্টাইন, নিউটন হয়ে যাবে। চিন্তা করতেই কি যে ভাল লাগছে! Laughing out loud
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।


আপনার কথা মত তাহলে তো প্রি-স্কুলের পাঁচ বছর বয়সি বাচ্চাদের পাঠ্যসূচিতেও কোয়ান্টম তত্ত্ব, ফিজিক্সে সব সূত্রও যোগ করা উচিত, তাই না?

কেউ যদি পাঁচ বছরের বাচ্চাকে এই সব পড়ানো নিয়ে প্রচারনা চালায় সেটা কতটুকু যুক্তিসংগত সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ও তীব্র সমালোচনাও চলতে পারে। কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি যে ধারায় লিখেছেন এতে করে আমার ধারনা হল এইসব পড়ানো যাবে না কারন এইগুলো পড়ালে বাচ্চা কাচ্চা সব নাস্তিক হয়ে যাবে। আমার কথাগুলো এই পয়েন্টের উপর ভিত্তি করেই করা। যাই হোক, আমি বিশ্বাস করি কোন বিষয়ে প্রচারনায় বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তারই বেশি যে ঐ পার্টিকুল্যার বিষয় সম্পর্কে জানে না। তাই যে কোন প্রকার বিভ্রান্তি থেকে নিজেকে বাচানোর জন্য হলেও পড়তে হবে আর সেটা যেই মতবাদ বা বিষয়ই হোক না কেন। কেউ কোন মতবাদকে খারাপ বলল বা ভুল বলল বলে পড়া যাবে না বা এটা আমার পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে, এটা ঠিক নয়।

@ পল,

আপনার ছবিগুলো পোষ্টকে আরো উজ্জল করেছে। এজন্য আপনাকে স্যলুট।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

আমার মেয়ের বরস আগামী মাসে ৫ হবে। ওর দাদী ২-৩ বছর বয়স থেকে তাকে সালাম দেয়া শেখাচ্ছে এবং আমার মেয়ে সেটা ভালই রপ্ত করেছে। ইদানিং বড়টাকে (ছেলে ৮ বছর) এটা সেটা জিজ্ঞেস করে। সেদিন বলছে ভাইয়া আমাকে কি সত্যি তোমরা হাসপাতালা থেকে নিয়ে আসছ (--বাবা বলেছে)? ছেলে বলে হ্যা তোমাকে হাসপাতাল থেকে আর আমাকে আকাশ থেকে নিয়ে আসছে--(দাদী বলেছে)

সারোয়ার ভাই আমার কিছু প্রশ্ন আছে:
১) ছেলে-মেয়েদের ঠিক কখন থেকে আরবী পড়ানো শুরু করা উচিৎ?
২) ছেলে-মেয়েদের ঠিক কখন থেকে বিজ্ঞান পড়ানো শুরু করা উচিৎ?
৩) দুই বিষয়ের কনফ্লিক্ট কখন থেকে তাদেরকে ব্যাখ্যা করা উচিৎ?

(কখন = কত বছর বয়স থেকে)
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়

There is probably no God
Now stop worrying and enjoy your life

বেচারার ব্যবসা দেইখা হাহাসোশুপ (হাসতে হাসতে সোফায় শুইয়া পড়লাম Laughing out loud )

'এনজয় লাইফ' জিনিষটা কি!!! কত বড় বিবর্তনবাদী আর নাস্তিক, নিশ্চয়ই বিশেষ কোন মানে আছে!!!!
==========================================================
-> সাম্প্রদায়িক কথা বললেই সাম্প্রদায়িকতা না, কে বলছে সেইটাই গুরুত্বপূর্ণ!
-> ইসলাম= জামাত-শিবির, প্রচারে ফায়দা আছে!


'এনজয় লাইফ' জিনিষটা কি!!!


খাও, দাও ফুরতি কর, আগামীকাল বাঁচবে কিনা বলতে পারো!
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

ওয়ালেস ভাইয়ের সিগনেচারের রহস্য জানতে মুঞ্চায়!


আপনি যদি পাঁচ বছরের বাচ্চাদের ডারউইনের মতবাদ পড়ান তাহলে আমরা স্নাতক ২য় বর্ষে এসব পড়েছি কেন? বয়স অনুসারে বিষয় নির্বাচন করা উচিত এবং তা শিশুর মানসিক বিকাশে অতি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের ইংরেজী মাধ্যম ও বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করেছেন? ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের তাদের বয়সের তুলনায় অনেক বেশি কিছু গলাধ:করণ করানো হয় বিধায় এদের মধ্যে যান্ত্রিকতা ও বস্তুবাদী চেতনা বেশি কাজ করে। অপরদিকে বাংলা মাধ্যমের বইগুলো (যদিও সর্বোচ্চ মানের নয়) অনেকটা শিক্ষার্থীর বয়স অনুপাতে গ্রহণ করার ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে রচনা করা হয় বিধায় বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি প্রাণবন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে আমাদের যখন পাশ্চাত্য দর্শন (সক্রেটিস থেকে সার্ত্রে ) পড়তে হয়েছিল তখন আমাদের মধ্যে তুমুল মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন দর্শনের বই পাশাপাশি পড়ার কারণে আমাদের পক্ষে বিষয়গুলোকে সহজভাবে নেয়া সম্ভব হয়েছিল। মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়কে আত্মস্থ করতে পারার কথা নয়। আমরা এখন স্নাতকত্তোর পর্যায়ে সিলেবাস প্রণয়ন বিষয়ে পড়ছি। একটি মানসম্মত সিলেবাস হতে হবে যৌক্তিক এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য উপযোগী। পঞ্চম শ্রেণেতো নয়ই উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও ডারউইনের মতবাদ পড়ানো ঠিক হবে না বলে আমি মনে করি।
আসুন নতুনের স্বপ্ন দেখি।

আপনার গঠনমূলক মন্তব্য পোষ্টকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। ধন্যবাদ।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

আপনেরে ওয়াচে রাকলাম Wink
*
*
*
*
*
**********************************************************************
আমি খুব তাড়াতাড়ি আমার গন্তব্যে পৌঁছতে চাই।
কারণ, সেখানে যথেষ্ট বিশ্রাম নিয়ে আমাকে আর একটি গন্তব্যের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
--------ইমরান আউলিয়া
*****************

আউলিয়া সাহেব, আপনার মন্তব্য রহস্যজনক Puzzled
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।


****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

বিবর্তনবাদ যে কেমন বিজ্ঞান! কোন প্রমান ছাড়া শুধু ধরো এবং ভাবো কোটিকোটি বছর ধরে হয়ে গেছে, মেনে নাও। জেনেটিক ইনফরমেশন ছাড়াই কি সব মাইক্রোইভ্যালুশনকে ম্যাক্রোইভ্যালুশন বানায় না কি বলে বুজিনা। একবার বলে মিসিং লিংক দরকার নাই, কি সব ইভ্যালুশ্যনারী কাজিন পাইলেই হবে। আবার ভূয়া ভূয়া কি সব মিসিং লিংক বানাইয়া ধরা খায়। কি সব লামছাম ভূয়া যুক্তি দিয়া ডাইনোসর থেকে পাখী বানায়, ঘোড়ার বিবর্তন বানায়! পুংলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ কেমনে আসলো ইত্যাদি, ইত্যাদি প্রশ্নের জবাব দিতে না পারা, হাজারো অসংগতির বিবর্তনবাদ তত্ত্ব যেটা আধুনিক বিজ্ঞান দ্ধারা অসমর্থিত, ফসিল রেকর্ড দ্ধারাও অসমর্থিত সেটা কিভাবে বিজ্ঞান হয়?
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি কোনো পোষা পাখি নাকি? যেমন শেখাবে বুলি সেভাবেই ঠোঁট নেড়ে যাবো


একবার বলে মিসিং লিংক দরকার নাই, কি সব ইভ্যালুশ্যনারী কাজিন পাইলেই হবে। আবার ভূয়া ভূয়া কি সব মিসিং লিংক বানাইয়া ধরা খায়। কি সব লামছাম ভূয়া যুক্তি দিয়া ডাইনোসর থেকে পাখী বানায়, ঘোড়ার বিবর্তন বানায়!


বিবর্তনবাদে ভুল বলে কিছু নেই! আপনি যেভাবেই চান সেভাবেই ব্যাখ্যা দাঁড়া করাতে পারবেন। বলতে পারেন এটা আলুর মত, যেকোন তরকারীতেই ব্যবহার করা যায়! Puzzled
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।


সারকথা হচ্ছে- বিজ্ঞান ও ধর্ম-বিশ্বাস দুটো ভিন্ন বিষয় যার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন।
একমত

বিবর্তন বাদের বিরুদ্ধে মুসলিমরা সোচ্চার হইছে তুলনামূলক অনেক পরে, যখন ক্রিস্টিয়ানদের জায়গায় মুসলমান বসাইয়া হালকা এডিট কইরা ইসলামরে এটাক করা হইলো। অথচ এইটার বিরুদ্ধে ক্লুক্লাক্সক্লানের মতো চরম সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গ্রুপগুলোও সক্রিয় ছিলো। আমি শুধু একটা জিনিস বুঝি নাই যে বিবর্তনবাদের সঙ্গে ধর্মের আসলে সম্পর্কটা কোথায়। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে এই তত্ব আবিষ্কারের পর গ্যালিলিওরে নাস্তিক বইলা ঝুলাইতে উইঠা পইড়া নামছিলো চার্চ, কারণ এতে তাদের ধর্মীয় বকাবাজির সুবাদে শাসনতন্ত্র বিপন্ন হয় এতে (সবদেশেই সবযুগেই রাজার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে ক্ষমতাবান ধর্মগুরুরা)। বিপন্ন হয় তাদের অস্তিত্ব। একসময় এই বিতর্কগুলা ডারউন (এবং তারে ঢাল বানাইয়া ধর্ম আক্রমণকারী) বনাম ধার্মিক ক্রিস্টিয়ানদের মধ্যে ব্যাপক ছিলো। আফসুস, সেইখানে এখন মুসলমান ঢুকছে:
Darwin and has been unfairly targeted by christian activists, who tell lies. Dig back in history though, and you'll see Darwin had nothing to do with promoting slavery, racism, abortions and more. Plenty of extremist christians murdered "for God".

Christian fanatics have kept the teaching of evolution out of schools for years. The Ku Klux Klan prohibit the teaching of evolution too.

Darwin said in his autobiography, that he was 'very unwilling to give up my belief.' He became agnostic. His wife, remained a devout christian, and raised their children as christian. Darwin said he didn't give up christianity until he was forty, in 1849. He said he had investigated the 'claims of christianity' and they were 'not supported by evidence.'

Darwin was frequently asked about his views on God, especially after he addressed human evolution in The Descent of Man. He rejected christianity: 'For myself, I do not believe that there has been any [christian] Revelation'. But he never denied the existence of a God: 'I think that generally, and more and more as I grow older, but not always, that an agnostic would be the most correct description of my state of mind.'

Did Darwin kill God? Plenty of people still believe in God, so 'no', Darwin didn't kill belief in God. Plenty of christians are aggressive in clinging to their world view. Creation 'scientists' cling to outdated ideas that fossils were laid down by Noah's flood and that Earth is only 6,000 years old.

Is christianity at risk of becoming extinct? With people clinging to rigid views and trying to make science and society confirm to these narrow views, I think that christianity and other religions may well become extinct. Keeping only parts of some science and tossing out others that don't fit their ideology highlights the absurdity of failing to adapt.

...................................................................................

অতীত খুঁড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি...

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর পাওয়ার জন্যে গবেষনার দরকার নাই- পোস্টের কমেন্ট গুলর অনুসরন করলেই হবে।
----------------------------------------------------------
"সওয়ারীদের দৌড়ানোর মাঝে কোন কল্যান নেই। "

অমি ভাই,

যে যুক্তি দিলেন আর যেটা কোট করলেন এর সবই তো খৃষ্টানদের করা অপরাধ ও বাইবেলের ভুল ব্যাখ্যার কথা। গ্যালেলিওকে চার্চ দমিয়েছে, আর ৬০০০ বছরের মানব ইতিহাস তো বাইবেলে লেখা আছে। করিমকে দেখিয়ে কেন বলেন রহিম দোষী। যারা বাইবেল থেকে দেখান ও বিশ্বাস করেন যে পৃথিবী ১০ হাজার আর মানব সভ্যতা ৬০০০ বছর পুরোনো, তাদেরকে তাদের নিজেদের দাবী নিজেদেরই প্রমাণ করে দেখাতে হবে; যেটা তারা পারবেন না, কেননা এটা প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক সত্যের বিপরীত। ইসলামকে এখানে টানছেন কেন? কোরান হাদীসের কোথায় আছে যে পৃথিবী ১০ হাজার আর মানব সভ্যতা ৬০০০ বছর পুরোনো?

--শাহবাজ

কিয়ের ডারউইনইজম ফারউইনইজম বিবর্তনবাদ!!!! ছয় হাজার বছর আগে মিয়া বিবি আদম আর হাওয়া কাপর চোপড় পইরা আকাশ থাইক্যা ধপ্পাস্ কইরা পৃথিবীতে পইড়া চাষ বাস , বাড়ি ঘর বানানো , রান্ধা বাড়ি কইরা খাওয়া দাওয়া, পোলা মাইয়ার বি্যা দেওয়া ,সব শুরু করে।এক্কেবারে পারফেক্ট সভ্য মানুষ। এত সোজা সমীকরন ছাইড়া কচি কচি পোলা পাইনের মাথা নস্ট কইরা বিবর্তনবাদ পড়ানোর কোন মানে হয় না।
সরওয়ার সাবেরে অভিনন্দন এই গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি সামনে আনার জন্য।
--------------------------------------------------------------------------------
ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস। বিশ্বাসে কোন যুক্তি প্রমাণের প্রয়োজন পড়েনা।


ছয় হাজার বছর আগে মিয়া বিবি আদম আর হাওয়া কাপর চোপড় পইরা আকাশ থাইক্যা ধপ্পাস্ কইরা পৃথিবীতে পইড়া চাষ বাস , বাড়ি ঘর বানানো , রান্ধা বাড়ি কইরা খাওয়া দাওয়া, পোলা মাইয়ার বি্যা দেওয়া ,সব শুরু করে।এক্কেবারে পারফেক্ট সভ্য মানুষ। এত সোজা সমীকরন ছাইড়া কচি কচি পোলা পাইনের মাথা নস্ট কইরা বিবর্তনবাদ পড়ানোর কোন মানে হয় না।


কইত্তে পাইছেন যে আদম-হাওয়া ৬ হাজার বছর আগে আইসে? এই ব্লগে কী কেউ আছেন যিনি মানব জন্ম ইতিহাস মাত্র ৬ হাজার বছরের তা বিশ্বাস করেন?

--শাহবাজ


ছয় হাজার বছর আগে মিয়া বিবি আদম আর হাওয়া কাপর চোপড় পইরা আকাশ থাইক্যা ধপ্পাস্ কইরা পৃথিবীতে পইড়া


আমার কাছে নাস্তিকতা কিংবা কোন বিষয়ে অজ্ঞ থাকাটা কোন সমস্যা না, তবে এমন কেউ-ও আছে জেনে বিনোদিত হলাম যে কিনা মুসলিমদের বিশ্বাস সম্পর্কে এতটা অজ্ঞ হয়েও তার কথাবার্তায় বিপরীত রূপটাই প্রকাশ পায়! এভাবেই কি তাহলে বিবর্তনবাদকে বিজ্ঞানের নামে 'প্রতিষ্ঠিত সত্য' হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে!


এভাবেই কি তাহলে বিবর্তনবাদকে বিজ্ঞানের নামে 'প্রতিষ্ঠিত সত্য' হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে!


চিন্তায় ফ্যালাইলেন।

তার মানে কি বিবর্তনবাদ প্রমান হয়ে গেল?
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।


আবার অন্যদিকে সাধারণ মুসলিমদের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে বিবর্তন-নামীয় ধর্ম-বিশ্বাসকে বিজ্ঞানের আবরণে ব্যবসা করার খ্যাতিরে কয়েকজন মুসলিম নামধারী আরব বিজ্ঞানীকে বিবর্তনবাদের কর্ণধারও বানিয়ে দেয়; কেননা তারা নাকি ডারউইনের অনেক আগে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছিলেন!
আপনার এই দাবীটি যে সত্যের অপলাপ এবং কথাটা যে মিথ্যা নয় সেটাই দেখানো।

@ ফারুক, আমি কি বলেছি যে, মুসলিম স্কলার বিবর্তনবাদ নিয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা করেননি? ব্যাপারটা সেরকম না। বিবর্তন মৌলবাদীরা বুঝাতে চায় যেহেতু মুসলিমরাও এটা নিয়ে কাজ করেছে, তার মানে ডারইউনিয়ান বিবর্তনবাদ হচ্ছে ফ্যাক্ট ! আবো পুরাতন সভ্যতার স্কলাররাও এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছেন। তারমানে এটা জোর দিয়ে বলা যায় না যে ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদ ধ্রব সত্য। বিজ্ঞান হিসেবে দেখলে সেরকম অবকাশ নেই।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

পড়লাম।
----------------------------------------------------------
"সওয়ারীদের দৌড়ানোর মাঝে কোন কল্যান নেই। "

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

"এ পর্যন্ত কল্পিত “ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজ” বা “মিসিং লিঙ্ক” এর টিকিটিরও সন্ধান পাওয়া যায়নি"
http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_transitional_fossils
http://news.nationalgeographic.com/news/2009/02/photogalleries/darwin-birthday-evolution/index.html
http://www.livescience.com/3306-fossils-reveal-truth-darwin-theory.html
http://societyofheathens.blogspot.com/2009/02/list-10-amazing-transitional-fossils.html
http://www.enotes.com/topic/List_of_transitional_fossils

কল্পিত পায়ের ছাপ যা বিবর্তনবাদ তত্ত্বের প্রমান বহন করে!!

গতবছর পোলান্ডে ৩৯৫ মিলিয়ন বছরের পুরাতন পায়ের ছাপ বা ফুটপ্রিন্ট আবিষ্কৃত হয়। শুধুমাত্র কয়েকটি ফুটপ্রিন্টের উপর ভিত্তি করে বলা হলো যে এটি প্রথম প্রানীর ফুটপ্রিন্ট, যা জল থেকে ডাঙ্গায় উঠে আসে (the first life form to move from water to dry land.”)। আর এই কয়েকটি ফুটপ্রিন্ট দিয়ে তথাকথিত চার-পা বিশিষ্ট প্রানীর কল্পিত চিত্র আকা হয়েছে। এটি নাকি বিবর্তনের ব্যাখ্যাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে (Fossil footprints in an old quarry lead to a radical rethink of the evolution of the first four-legged animals or tetrapods)। নৃ-বিজ্ঞানীদের ভাষায়-


Palaeontologists are calling the specimen from the Devonian a true 'missing link'


ছবিতে দেখুন ফুটপ্রিন্ট ও সেগুলোকে কল্পনা করে কল্পিত চার-পা বিশিষ্ট প্রানী!


ছবি-১ কিছু 'ফুটপ্রিন্টের' ফসিল। সর্ব-ডানে কল্পিত চার-পা বিশিষ্ট প্রানী!


বিবর্তনবাদীদের কল্পনাশক্তিকে প্রসংশা করতে হয়। শুধুমাত্র কয়েকটি ফুটপ্রিন্টকে সাপোর্ট করতে আশ্রয় নিতে হয়েছে আরেকটি কল্পিত ফসিল, যা Tiktaalik roseae (ছবি দেখুন- বুঝা যায় কিছু?)। এটিও একসময় কল্পিত ছিল। আস্তে আস্তে তা ধ্রুবসত্যে পরিনিত হয়েছে!


ছবি-২ Tiktaalik roseae

ফুটপ্রিন্টগুলো ব্যাখ্যা বিখ্যাত জার্নাল নেচারে প্রকাশিত হয়েছে!!! নেচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রটি (কাল্পনিক ব্যাখ্যাপত্র) সমালোচনা করেন অন্যসব বিজ্ঞানীরা। কিছু নমুনা। বিস্তারিত লিঙ্ক থেকে জেনে নিতে পারেন।

The creature, described today in Nature1,2, lived some 375 million years ago. Palaeontologists are calling the specimen from the Devonian a true 'missing link', as it helps to fill in a gap in our understanding of how fish developed legs for land mobility, before eventually evolving into modern animals including mankind.


বিজ্ঞানীদের চরম সন্দেহ এই চার-পায়ের ছাপ বা ফুটপ্রিন্ট নিয়ে। কিছু নমুনা-
There is still a small chance these may be something else masquerading as tetrapod footprints। But the claim will not be accepted by all.


"I am sure this paper will come under heavy fire " says Philippe Janvier of the National Museum of Natural History in Paris (see P. Janvier & G. Clément Nature 463, 40–41; 2009).


The find is not supported by fossil bones at the site, and palaeontologists familiar with the discovery say they have reservations about the tracks, because they may have been made by some natural process.


এত সন্দেহ থাকার পরও এটি নেচারে মত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে! পাঠক বুঝে নেন। যেভাবেই হোক বিবর্তনবাদ প্রমান করে ছাড়তেই হবে!

http://www.nature.com/news/2010/100106/full/news.2010.1.html
http://www.nature.com/news/2006/060405/full/news060403-7.html

এখুন দেখুন বিখ্যাত গার্ডিয়ান পত্রিকা এই খবরটি ধ্রুব সত্য ধরে কিভাবে অতিরঞ্জিত করছে তার নমুনা দেখুন।

Philippe Janvier of the Muséum National d'Histoire Naturelle in Paris said the finding was as significant as "the first footprint of Neil Armstrong on the moon" and described its effect as akin to "lobbing a grenade" into the previous consensus of when the shift from water to land occurred.

Until now, experts had believed that the earliest tetrapod fossils, traced to about 375 million years ago, had split from their fishy ancestors a few million years earlier and then gone on to conquer the land.

"These prints push back the divergence of fish and four-legged vertebrates by almost 20 million years," said Janvier. "The evolutionary tree as we consider it now remains the same, but the timing of the tree changes."


http://www.guardian.co.uk/science/2010/jan/06/footprints-tetrapods-walked

পুরো বিষয়টি জানতে ভিডিও দেখতে পারেন। এতে অনেক বিনোদন আছে। গ্যারান্টি!


****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

আপনার এই মন্তব্যে কি দেখাতে চাইলেন? বিবর্তন গবেষণায় কতো ফাক রয়ে গেছে? এই জিনিষটি কে অস্বীকার করেছে? গতো দেড়শো বছরে বিবর্তন গবেষনায় অসংখ্যবার নানারকম ভুল বেড়িয়ে এসেছে, নানারকম স্ক্যান্ডাল হয়েছে। তাতে কি বিবর্তন ভুল প্রমান হয়েছে?

একটা কথা স্পষ্ট করে বলুন যে পৃথবীতে প্রানের তিনশ কোটি বছরের ইতিহাসের এবং পৃথিবীতে প্রানের বৈচিত্রের, ইউনিফাইং বৈজ্ঞানিক থিয়োরী কোনটি? বিবর্তন ছাড়া আর কি তত্ব রয়েছে? আপনার থি্যোরী কি?

আপনি যা বুঝেছেন তাই বুঝাতে চেয়েছি। বিবর্তনবাদ তত্ত্বের মূল ভিত্তিগুলোকে যে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়, সেটি আমি দেখাতে চেয়েছি। ভুল-শুদ্ধ বিজ্ঞানের বিষয়। তাই বিবর্তনবাদকে বিজ্ঞান হিসেবি দেখতে চাই। কিন্তু ভাবধারা প্রকাশের মুখোশ হিসেবে নয়।

ইউনিফায়িং থিউরী নেই বলেই কি বিবর্তনবাদ তত্ত্বকেই কি ইউনিফায়িং ব্যাখ্যা হিসেবে মেনে নিতে হবে? সবকিছুর ইউনিফায়িং থিউরীর প্রয়োজনও নেই বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। ভাল থাকেন।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।


আপনার এই মন্তব্যে কি দেখাতে চাইলেন? বিবর্তন গবেষণায় কতো ফাক রয়ে গেছে? এই জিনিষটি কে অস্বীকার করেছে?


বাংলা ব্লগে যারা বিবর্তন তত্ত্বকে ডিফেন্ড করছে তাদের দু-একটি লেখা দেখান যেখানে তা স্বীকার করা হয়েছে। আপনারই বা এ বিষয়ে কোন লেখা আছে কি?

গতো দেড়শো বছরে বিবর্তন গবেষনায় অসংখ্যবার নানারকম ভুল বেড়িয়ে এসেছে, নানারকম স্ক্যান্ডাল হয়েছে। তাতে কি বিবর্তন ভুল প্রমান হয়েছে?


তাতে কি বিবর্তন তত্ত্ব সত্য প্রমাণ হয়েছে?


http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_transitional_fossils


এখানে বেশীর ভাগ কল্পিত চিত্র বা তথাকথিত ট্রান্সজিশনাল স্পিসিস। এটাকে লিস্ট অফ ড্রয়িংসও বলা যায়।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

লিঙ্কগুলো আপনি নিজে পড়েছেন কিনা, আর পড়ে থাকলে বুঝেছেন কিনা?

অ-স্তন্যপায়ী প্রজাতি থেকে ধাপে ধাপে স্তন্যপায়ী প্রজাতির বিবর্তনের মিসিং লিঙ্কগুলো দেখান তো। অনুরূপভাবে, লিঙ্গবিহীন প্রজাতি থেকে ধাপে ধাপে লিঙ্গওয়ালা প্রজাতির বিবর্তনের মিসিং লিঙ্কগুলোও দেখান।

"কিন্তু নাস্তিকেরা তাদের ভাবধারা সমাজে আরোপ করতে বিজ্ঞানের মুখোশ ব্যবহার করছেন"

অন্যদিকে আস্তিকেরা কিন্তু বিজ্ঞানের ক্রাচের উপরে মোটেই নির্ভর করা না। তারা তাদের ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে জোড়াতালি দেবার কোনো চেষ্টাই করে না।

@লেলিন রহমান, জ্বি আস্তিকরাও করে; করা যায় দেখেই করে। ডারউইনিজম আর মাল্টিভার্স ব্যাখ্যা হিসাবে শুনতে চমৎকার লাগে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক সত্য বলতে হলে প্রমানিত বিজ্ঞান হতে হবে, কোন ফাঁক থাকা যাবেনা কেননা এটা বিজ্ঞান।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি কোনো পোষা পাখি নাকি? যেমন শেখাবে বুলি সেভাবেই ঠোঁট নেড়ে যাবো

জোড়াতালি দিয়া বিজ্ঞান হয়না সত্য কথা।
কিন্তু জোড়াতালি ছাড়া কি ধর্ম হয়?
_____________________

ক্ষুদ্র স্বার্থ ভুলে মুক্তির দাঁড় টান।

"কিন্তু বৈজ্ঞানিক সত্য বলতে হলে প্রমানিত বিজ্ঞান হতে হবে, কোন ফাঁক থাকা যাবেনা কেননা এটা বিজ্ঞান"
বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখাতেই অজস্র ফাক রয়ে গেছে। কোয়ান্টাম তত্বে এখনো বিশাল বিশাল ফাক আছে। এজন্যে আমাদের বিজ্ঞান বর্জন করে খেজুর গাছের তলায় ফিরে যাওয়া উচিৎ।

@লেনিনরহমান


এজন্যে আমাদের বিজ্ঞান বর্জন করে খেজুর গাছের তলায় ফিরে যাওয়া উচিৎ।


যে খেজুরগাছের কথা বলছেন বলে অনুমান করছি তার সাথে বিজ্ঞানের কোনো অপ্রতিসমতা আছে বলে জানিনা। অবশ্য চোখে পোলারাইজড ফিল্টার লাগানো আবুল কাশেম ও অভিজিতেরা অনেক গড়মিল দেখেন। সেই গড়মিল প্রমাণকল্পে অবশ্য গোঁজামিলে ভরা বইও তারা প্রকাশ করে ফেলেছেন। তবে যৌক্তিকতার ভিত্তিতে ঐসব বইয়ের কানাকড়িও দাম নেই।

--শাহবাজ

@ জব্বার খান ভাই,

মাল্টিভার্স অনেক জটিল বিষয়! দেখেন উপরে মন্তব্যে পায়ের ছাপ থেকে কিছু উদ্ধার করতে পারেন কিনা? Puzzled
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

বিবর্তন পড়ার দরকার নাই।

নাস্তিক ধর্মের কথা শুইনা আমি হাহাপগে।

অট: ধমাধম এর নাম মুখে আনতে কি লইজ্জা পাচ্ছেন Wink

বিবর্তনবাদ পড়ার দরকার আছে। তবে এটা নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ নেই!
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।


বিবর্তনবাদ পড়ার দরকার আছে। তবে এটা নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ নেই!


ব্যবসা বানিজ্য যা করার শুধু ধর্মওয়ালারাই করবো।


ব্যবসা বানিজ্য যা করার শুধু ধর্মওয়ালারাই করবো।

পোষ্টে তাকান। গুরুর ছবি দেখতে পাইবেন!
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

বিবর্তনবাদ নিয়ে ব্যাবসার তীব্র নিন্দা জানাই। ব্যাবসা ক্ষেত্রে ধর্মের একচেটিয়া অধিকার খর্ব করার এই হীন চক্রান্তের ব্যাপারে আপনার কাছ থেকে আর বেশি সচেতনতামূলক পোস্ট চাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
আসবে আমাদেরও দিন....

খ্যাক !! খ্যাকজ !!
_____________________

ক্ষুদ্র স্বার্থ ভুলে মুক্তির দাঁড় টান।

পড়লাম। ভালো লাগলো।

আমি বিবর্তনবাদ সম্পর্কে তেমন একটা জ্ঞাত না (আমি মেডিকেল সাইন্সে বিশেষজ্ঞ = বিশেষ ভাবে অজ্ঞ)। তবে এটা জানি, বিষয়টা (এবং অন্যান্য বিষয়, যা নাস্তিকরা স্রষ্টার অস্তিত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক মনে করে, যেমন বিগ ব্যাং থিওরি) এখনো প্রমাণিত না। এগুলো এখনো অনেকগুলো ধারণার কম্বিনেশন থেকে বের করা কয়েকটা হাইপোথেসিসের সমষ্টি। বিজ্ঞান ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়। কাজেই সব ব্যাখ্যা যে সঠিক হবে এমন নাও হতে পারে। বরং অনেকগুলো কনজিকিউটিভ ভুল ব্যাখ্যার পর হয়তো সঠিকের কাছাকাছি কোনো ব্যাখ্যা বেরিয়ে আসবে, এটাই স্বাভাবিক। বেশি গভীরে যাওয়ার দরকার নাই। আজ পর্যন্ত কয়টা পরমাণুবাদ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং আজও হচ্ছে, এটাই তার প্রমাণ।

যাই হোক, কথা হলো, বিজ্ঞান কখনোই স্থির না। এটা সদা পরিবর্তনশীল। যা আজকের দিনের জাদু, তা আগামী দিনের প্রযুক্তি। কাজেই বিজ্ঞানের সাহায্যে কোনো কিছুর সম্পর্কেই স্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব না। একজন বিজ্ঞানী তাই কখনোই ধাক্কা মেরে গায়ের জোরে কোনো তত্ত্ব ফেলে দিতে পারেন না। যদি তা দেন, সেটাকে তার আবেগের বহিপ্রকাশ বলেই ধরা উচিত। এই কথা এমনকি বিবর্তনবাদের গুরুরাও মানেন, কিন্তু আফসোস! তাদের শিষ্যরা কেনো যেনো মানতে চায় না।

@ বুড়ো শালিক,
বিজ্ঞান হিসেবে বিবর্তনবাদকে প্রশ্ন করাই যেতে পারে। এটা নিয়ে তেড়ে আসার কিছু নেই। অনেকের প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝা যায় আসলে তারা এটা বিজ্ঞান হিসেবে না নিয়ে বরং ধর্মী-বিশ্বাসের ভিত্তি হিসেবে নেয়। যার প্রভাব মন্তব্যের দেখা যায়। এরা অশিক্ষিত ধর্মীয় মৌলবাদীদের মত আচরণ করে।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

আপনি আপনার লিখায় অনেকগুলো ভুল তথ্য এবং কিছু বেপার আপনার সুবিধা মতো উপস্থাপন করেছেন...
যেমন আপনি বলেছেন,
এ পর্যন্ত কল্পিত “ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজ” বা “মিসিং লিঙ্ক” এর টিকিটিরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

কিন্তু সত্যিকার অর্থে অনেক গুলো মিসিং লিঙ্কই পাওয়া গিয়েছে... তাদের মাঝে ২-১টি বিবর্তনটি কি প্রক্রিয়ায় হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরী করে, কিন্তু বিবর্তন যে হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করে না। বেপারটি অনেকটা এমন, ভ্রুন থেকে মানুষ হয়, এটি আপনি বুঝতে পারছেন, কিন্তু মাঝের পর্যায় গুলো নিয়ে আপনি পুরোপুরি clear না। ...

আপনি Genetic Sequence similarity নিয়ে বলতে গিয়ে আর বলেননি... খুব সুন্দর ভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন। Genetic Engg. and Biotechnology-র ছাত্র হিসেবে আমি জানি কতোটা সুনির্দিষ্টভাবে বিবর্তনের পক্ষে প্রমান স্থাপন করা যায়। ... এখন ১৯২০ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আপনি বা আপনার অতি পরিচিত কেউ দেখেনি,এখন তাই বলে আপনি যদি বলেন আসলে কোনো যুদ্ধ হয়নি, তাহলে বেপারটি ঠিক এমনই দাঁড়ায়। Analysis of DNA sequence among existing close and distant species and many pre-existing species(DNA isolated from their fossils) clearly suggest evolution was occured and still occuring.

আপনি ১০০০ বিজ্ঞানীর একটি লিস্ট দিয়েছেন যারা বিবর্তন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। মানলাম, কিন্তু এদের মাঝে অনেকেই বিবর্তনের প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, কিন্তু বিবর্তন হয় নাই এটা বলেন নাই... যেমন, মানুষের ২নং ক্রোমোজমটি great apes এর দু'টি ক্রোমোজম-এর fuse এর মাধ্যমেই এসেছে, এটা নিয়ে কোনো বিজ্ঞানীর সমস্যা নেই, কিন্তু কখন কিভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে অনেকে অনেক মত দিয়ে থাকেন...

সর্বোপরি, আস্তিকতা, নাস্তিকতা পরের বেপার... কিন্তু আপনি যদি বিবর্তনকে না মানেন, তাহলে modern biological science পুরোটাকেই অস্বীকার করা হয়। ...

smile :) :-) সারোয়ার ভাই একজন বিশিষ্ট উচ্চ মর্গীয় জ্ঞানপাপী। উনি সেই সব রেফারেন্সই ব্যাবহার করেন যেটা উনার পক্ষে যাবে এবং অন্যান্য রেফারেন্স সযন্তে এড়িয়ে জান। সেইসব বিষয় যখন রেফরেন্সের মাধ্যমে দেখানো হয় তখন উনি জরুরী কাজে বাইরে যান। সদালাপেতো এইটা একটা হট টপিক

ভাইযান নতুন কিছু রেফরেন্স আমদানি করেন পুরানো জিনিষ কপি পেস্ট করে আর কত??? এই চান্সে আবার সেই প্রশ্নটা করে যাই, কারন এখনও উত্তর পাই নাই:

"পৃথীবির কোন ধর্মগ্রন্থে কি ডাইনোসারদের কথা লেখা আছে নাকি ডাইনোসার বলে কিছু নাই সবই হলিউডের সৃষ্টি"
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়

@ haluwa29,

আপনার মন্তব্য হালুয়ার মতই Stare ! আমার আর বলার কিছু নেই। ধন্যবাদ।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।


তাহলে modern biological science পুরোটাকেই অস্বীকার করা হয়। ...


তাতে কি? উনার তাতে কি কিছু আসে যায়।

@ দ্বিতীয়নাম,


তাতে কি? উনার তাতে কি কিছু আসে যায়।


হ্যা, আপনি ভাই ঠিকই বলেছেন। এতে আমার কোন যায় আসে না।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

@ প্রয়াস,

যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে ভাই। পোষ্টে প্রায় ১০০০ বিজ্ঞানীর লিস্ট আছে। তারাও ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। বিবর্তনবাদ হচ্ছে এমন বিষয় যা বিতর্ক কোন দিন শেষ হবে না।


যেমন, মানুষের ২নং ক্রোমোজমটি great apes এর দু'টি ক্রোমোজম-এর fuse এর মাধ্যমেই এসেছে, এটা নিয়ে কোনো বিজ্ঞানীর সমস্যা নেই, কিন্তু কখন কিভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে অনেকে অনেক মত দিয়ে থাকেন...

এগুলো সবই ব্যাখ্যামূলক! যে যার মত করে ব্যাখ্যা করে। বিবর্তনবাদকে ধ্রব ধরে নিয়ে ঐ্সব সমস্ত সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে। দেখলেন না অস্পষ্ট পায়ের ছাপকেও কিভাবে জোর গলায় বিবর্তনবাদ তত্ত্ব প্রমানে ব্যবহার করা হয়। তালগাছ আমার টাইপের যুক্তি! Puzzled আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

@প্রয়াস,


কিন্তু সত্যিকার অর্থে অনেক গুলো মিসিং লিঙ্কই পাওয়া গিয়েছে...


পুরো ব্যাপারটা প্রতারণার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে আপনিই ভুল তথ্য দিয়ে অসচেতন পাঠকদেরকে বিভ্রান্ত করছেন।

তাদের মাঝে ২-১টি বিবর্তনটি কি প্রক্রিয়ায় হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরী করে, কিন্তু বিবর্তন যে হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করে না


ব্যাপক বিনোদন! আপনি এত কিছু জানেন অথচ আমরা মনে হচ্ছে সেই তিমিরেই রয়ে গেছি!

বেপারটি অনেকটা এমন, ভ্রুন থেকে মানুষ হয়, এটি আপনি বুঝতে পারছেন, কিন্তু মাঝের পর্যায় গুলো নিয়ে আপনি পুরোপুরি clear না। ...


ভ্রুণ থেকে মানুষ হওয়ার উদাহরণটি এক্ষেত্রে প্রতারণাপূর্ণ। কারণ ভ্রুণ থেকে যে প্রতিনিয়ত মানুষ হচ্ছে তা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পুরো মানব জাতির কাছে একটি অবজারভেবল ফেনমিন্যান।

এখন ১৯২০ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আপনি বা আপনার অতি পরিচিত কেউ দেখেনি,এখন তাই বলে আপনি যদি বলেন আসলে কোনো যুদ্ধ হয়নি, তাহলে বেপারটি ঠিক এমনই দাঁড়ায়।


একেবারে প্রতারণাপূর্ণ যুক্তি, যেটি রিচার্ড ডকিন্স দিয়েছিলেন হলোকাস্ট নিয়ে। একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে বিবর্তনবাদের মতো কল্পকাহিনীকে কখনোই তুলনা করা যায় না।

যেমন, মানুষের ২নং ক্রোমোজমটি great apes এর দু'টি ক্রোমোজম-এর fuse এর মাধ্যমেই এসেছে, এটা নিয়ে কোনো বিজ্ঞানীর সমস্যা নেই


এটা নিয়ে যে কোন বিজ্ঞানীর সমস্যা নেই - তা কী করে নিশ্চিত হলেন? সারা পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানীরা সবাই কি আপনার কানে কানে বলেছেন, নাকি এ বিষয়ে সকল বিজ্ঞানীদের সিগনেচার সহ কোন লিস্ট আছে?

সর্বোপরি, আস্তিকতা, নাস্তিকতা পরের বেপার... কিন্তু আপনি যদি বিবর্তনকে না মানেন, তাহলে modern biological science পুরোটাকেই অস্বীকার করা হয়।


এইটাও একটা অপপ্রচার। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বকে মানা বা না মানার সাথে জীববিজ্ঞান অস্বীকার করার কোন সম্পর্ক নাই। বিবর্তন তত্ত্ব ভুল হলে কিংবা না থাকলেও জীববিজ্ঞান থেকেই যাবে।

আসলে গেলে হারুন ইয়াহিয়া ভাইয়ের কাছ থেকে নজরানা আসাও বন্ধ হয়ে যাবে যে। লক্ষ্য করলে দেখবেন উনার লেখা ৯৯।৯৯% ইয়াহিয়া থেকে কপি পেস্ট।
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়


পরিসংখ্যান

ব্লগারঃ haluwa29
ব্লগ লিখেছেনঃ ০টি
মন্তব্য পেয়েছেনঃ ০টি
অন্যের ব্লগে মন্তব্য করেছেনঃ ৪টি
নিজের ব্লগে মন্তব্য করেছেনঃ ০টি
সদস্য হয়েছেনঃ ১ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট আগে

আপনে কার মাল্টি? আসল নিকে না এসে এভাবে চুপি চুপি আসলেন কেনো?
দেড় ঘণ্টায় আপনার অর্জিত জ্ঞান দেখে টাস্কিত হইছি!!!
আপনার এত বিয়াপুক গিয়ানি বেরেন জাদুঘরে রাখা হউক!!!

আমি পুরাণ পাপী--এখনও চিনতে পারেন নাই দেখি!! বেরেন জাদুঘরে রাখার একটা ইউটুব ভিডুর নেচার রেফারেন্স রাখার দাবী জানাইয়া গেলাম
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়


আমি পুরাণ পাপী--এখনও চিনতে পারেন নাই দেখি!! বেরেন জাদুঘরে রাখার একটা ইউটুব ভিডুর নেচার রেফারেন্স রাখার দাবী জানাইয়া গেলাম


নেচারকে সম্পর্কে আপনার অজ্ঞতাকেই ফুটিয়ে তুলেছে! পায়ের ছাপ সংক্রান্ত উপযুক্ত দুটো রেফারেন্স (নেচার জার্না ) দেয়া আছে এবং সেখান থেকেই উদ্ধৃতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে! মাথা টাল থাকার কারনে চোখ এড়িয়ে গেছে! নেচার থেকে ইদানিং ভিডিও বানানো হয়! আগে সুস্থ হয়ে নেন ভাই। পড়ে কথা হবে। Shock
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

এই জবাবগুলৌর আগে তীর --> চিহ্ন আসতেছে কেন?
*
*
*
*
*
**********************************************************************
আমি খুব তাড়াতাড়ি আমার গন্তব্যে পৌঁছতে চাই।
কারণ, সেখানে যথেষ্ট বিশ্রাম নিয়ে আমাকে আর একটি গন্তব্যের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
--------ইমরান আউলিয়া
*****************


@ হালুয়া,

আসলে গেলে হারুন ইয়াহিয়া ভাইয়ের কাছ থেকে নজরানা আসাও বন্ধ হয়ে যাবে যে। লক্ষ্য করলে দেখবেন উনার লেখা ৯৯।৯৯% ইয়াহিয়া থেকে কপি পেস্ট।



কোন অংশটুকু কপি-পেষ্ট তা পাঠকদের দেখাইয়া দেন। খেই হারাইয়া ফেললে এমন ভাংগা রেকর্ড বাজতে থাকে! ভাবখানা এমন যে পৃথিবীতে একমাত্র হারুন ইয়াহিয়াই বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে!

****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

@হালুয়া২৯,


লক্ষ্য করলে দেখবেন উনার লেখা ৯৯।৯৯% ইয়াহিয়া থেকে কপি পেস্ট।


একটু দেখাইয়া দেন তো কেমনে এত মিল হইল। আমি তো উল্টাডা জানতাম; যে কিছু হইলেই বিবর্তনবাদীরা কেবল 'স্বার্থপর জীন' নামক পুস্তক হইতে কর্তন-সংযোজন করেন। আর হারুন ইয়াহিয়ার সাথে মিল হইলেই বা কী? যেখানে ডারুইন সাহেবই বলেছেন উনার তত্ত্বের ভিত্তিই হচ্ছে 'মিসিং লিঙ্ক' পাওয়ার মধ্য দিয়ে, সেখানে হারুন ইয়াহিয়া বা সরোয়ার যেই মিসিং লিঙ্কের কথা বলেন না কেন, অসুবিধা কোথায়? আর পৃথিবীতে দেখা যায় এমন হেন কোনো প্রাণী নাই যার ফসিল পাওয়া যায়নাই (মাছ, গাছ, গাধা ঘোড়া, সাপ, ব্যাং, কুমীর ইত্যাদি ইত্যাদি সবকিছুর), কিন্তু কেবল মিসিং লিঙ্ক গুলার ফসিল পাওয়া যায়না। যাও ২-১ টা পাওয়া গেছে বলে দাবী উঠছে ওখানেও অনেক জালিয়াতির অভিযোগ আছে। স্বাভাবিক অর্থে বলতে গেলে এটা ভাবাই যৌক্তিক আর বৈজ্ঞানিক যে বর্তমানে পৃথিবীতে যত প্রজাতির প্রাণী আছে তার চাইতে মিসিং লিঙ্কের প্রাজাতি সংখ্যা অনেক-অনেক বেশী হবার কথা। অথচ মিসিং লিঙ্কের ফসিল কোনো কারণে পাওয়া যায়না। আজকাল অবশ্য 'মিসিং লিঙ্কের' কথা বললে বিবর্তনবাদী-রাই মিসিং হয়ে যান, আর জীন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হন। ওখানেও গড়মিল আছে। কেন জানি র‍্যান্ডম র‍্যান্ডম করে সব কিছু অর্ডারলি হয়ে যায়।

--শাহবাজ

আচ্ছা আপনাদের এত ক্যাঁড়া কেন?
-------------------------
" আপনাকে সদালাপের সুস্থ পরিবেশে আসার জন্য আমন্ত্রন রইল। " - মহামতি সারোয়ার হোসেন




See video

-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়


_____________________

ক্ষুদ্র স্বার্থ ভুলে মুক্তির দাঁড় টান।

একটা ভিডু দিসিলাম ইউটিউব থেকে "ও-রানা ও-সোনা"--মাসুদ রানা (সোহেল রানা, ওলিভিয়া)। নেচার না হওয়াতে মনে হয় আসে নাই smile :) :-))
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়

@ হালুয়া,

মাথা একবারেই গেছে! নেচে-গেয়ে আউলা-ঝাওলা মাথা ঠিক করার চেষ্টা করুন। ব্যাপক বিনোদন! Puzzled Sad Sad =))
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

বিবর্তনবাদীদের যুক্তি হলো " পায়ে পরার সেন্ডেল আর মোবাইল ফোন একই পদাথ (প্লাস্টিক) দিয়ে তৈরি, সুতরাং সেন্ডেল থেকে বিবর্তন হয়ে মোবাইল হয়েছে"। ঐগুলিরা বূজার চেস্টা করে না যে একটা পায়ে দেওয়ার জন্য আর একটা কথা বলার জন্য। 'বান্দর' বনে জংগলে বান্দ্রামি করার জন্য আর 'মানুষ' , আল্লাহতালার ইবাদত করার জন্য।
যারা মনে করে তাদের আগের পুরুশ বান্দর / সিম্পাঞ্জি আছিলো, তাদেরকে আমরা মানুষ বলি কি করে ?
" আমার ছেলের বইতে 'বিবর্তন' এর পাতা দেখাইয়া বলছি ' স্যারকে বলবা 'আমার বাবা বলছে এটা আমাকে পড়াতে না।" তাতে যদি নম্বর কমেও যায়।"

গুরু আপনাকেই খুজছে বাংলাদেশ। একটা প্রশ্ন আছিল: পৃথীবির কোন ধর্মগ্রন্থে কি ডাইনোসারদের কথা লেখা আছে নাকি ডাইনোসার বলে কিছু নাই সবই হলিউডের সৃষ্টি?
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়

ধর্মগ্রন্থ কি হলিউডের রংগমঞ্চ যে, শয়তানেরা যা পছন্দ করবে তাই থাকবে ? আর ডাইনোসারদের কথা লেখা নাই তা আপনি কি করে জানলেন ? আপনি কি কুরআন পড়েন ?
The term DNA is an abbreviation of the genetic material in living things. The beginning of the science of genetics dates back to genetic laws drawn up by the scientist Mendel in 1865. The date, a turning point in the history of science, is referred to in verse 65 of Surat al-Kahf, or verse 18:65.





When the appearance of the letters D-N-A (Dal-Nun-Alif in Arabic) side by side in places in the Qur’an is examined, they appear most frequently in verse 65 of Surat al-Kahf. The letters D-N-A appear side by side three times in this verse, in a most incomparable manner. In no other verse of the Qur’an do the letters “DNA” appear consecutively so often.

***HALLEY’S COMET AND 76 YEARS

One of the greatest developments in modern astronomy is the discovery of Halley’s Comet. The 18th-century scientist Edmund Halley discovered that the comet comes around every 76 years. With that discovery, Halley established that comets have astronomical orbits.

The name "Halley" by which the comet is known, appears in a most striking way in verse 76 of Surat al-An’am in the Qur’an:

When night covered him he saw a star and said, ‘This is my Lord!’ Then when it set he said, “I do not love what sets.” (Sura An’am, 76)



The letters that make up the word "Halley" appear for the first time in the Qur’an in this verse. Furthermore, the reference to a “setting” star is highly significant. What is more, the Arabic word “kawkaban,” meaning “star,” appears right next to the letters comprising “Halley.”



76, the number of the related verse, on the other hand, may indicate 76 years, which is Halley’s orbital period. (Allah knows the truth.) The verse number 76 represents the Halley comet; because Halley becomes visible from the Earth every 76 years. That is to say, its orbital period is 76. For this reason, that Halley is mentioned for the first time in the Qur’an in the 76th verse is a miracle of Allah.
আরো আছে !!!!!!!! এখন কেউ যদি আপনার মত প্রশ্ন করে 'নিউটনের গভেষনার কোন জায়গায় লেখা নাই ২+৩=৫, সুতরাং নিউটন তা জানে না !!!!' তাহলে আপনিই চিন্তা করেন সে কোন লেভেল থেকে প্রশ্ন করছে ? আপনি নিজেই হয়তো তাকে গ্রাইম্মা ভুত বলে গাল দিবেন।

D-N-A (Dal-Nun-Alif in Arabic) Sad( Sad( Sad(
তাইলে ১৩০০ বছর কেন লাগল ডিএনএ আবিষ্কার করতে এইটা বুঝতে পারতেছি না।
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়


Evolution could so easily be disproved if just a single fossil turned up in the wrong date order. Evolution has passed this test with flying colours. - Richard Dawkin

সারওয়ার সাহেব, বিবর্তন মিথ্যা প্রমাণে একটা ফসিল ভুল জিওলোজিক্যাল স্তরে (stratum) এ পাবার একটি উদহারণ দেন।
-------------------------------------------------------------------------------
To win in life, don’t fear in life.

যদি পারেন তাহলে আপনি, কি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সংগ্রামে পড়ে আম গাছকে কাঁঠাল গাছে বিবর্তিত হতে হয়েছিল (কিংবা ভাইস-ভার্সা) তার সঠিক বৈজ্ঞানিক বিবরণ দেন ; আর আমরাও বিবর্তন সম্পর্কে কিছু শিখি।

--শাহবাজ

প্রথম পুরুষ/নারী (এডম/ইভ) দেখতে কেমন ছিল তাহলে? সে কি চাইনিজ দের মত ছিল নাকি আফ্রিকান? গায়ের রঙ আমাদের মত শ্যমলা নাকি ফিরিঙ্গিদের মত সাদা ছিল? যদি একজন পুরুষ/নারী থেকেই আমদের বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে তাহলে কেন মানুষের এত ভ্যারিয়েশন আজকে?
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়

@মিঃ আদম,


সারওয়ার সাহেব, বিবর্তন মিথ্যা প্রমাণে একটা ফসিল ভুল জিওলোজিক্যাল স্তরে (stratum) এ পাবার একটি উদহারণ দেন।


এইটা একটা প্রতারণাপূর্ণ যুক্তি। ধরা যাক এরকম উদাহরণ কেউ দিতে পারল না, বাস্তবে হয়ত আছে হয়তবা নাই। তাহলেই কি বিবর্তনবাদ তত্ত্ব সত্য প্রমাণিত হবে? তা-ই যদি মনে করেন তাহলে আসল নিকে/নামে আসেন।

এইটা একটা প্রতারণাপূর্ণ যুক্তি হলে - কোন একটা মিসিং লিংক এখনো আবিস্কার না হবার প্রেক্ষিতে পুরো বিবর্তনের থিওরি ভুল দাবি করা কেন একটা প্রতারণাপূর্ণ যুক্তি হবে না!!
-------------------------------------------------------------------------------
To win in life, don’t fear in life.

আমি ও জানতাম যে যেটা দাবি করে, সেটা প্রমাণের দায়ভার তার। আস্তিকদেরকে তো নাস্তিকরা তাই বলে।
টেবিল ঘুরে গেলে সমীকরণও কি উল্টে যায় নাকি?

হারুণ ইয়াহিয়ার পরে বিবর্তনবাদকে মিথ্যা প্রমাণ করতে আপনার লেখার তুলনা হয় না। এই লেখা বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আপনি আজকে মানব জাতিকে এক ভয়াবহ ভুলের হাত থেকে রক্ষা করলেন। সারুয়ার ভাই জিন্দাবাদ।

তবে আমার একটা ছুডো কোশ্চেন আছে। আপনি বিবর্তনবাদকে নাস্তিকদের ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখালেন। তাহলে যে অসংখ্য সংখ্যক আস্তিক বিবর্তনবাদি বিজ্ঞানী আছে তারা কিসের জন্য বিবর্তন নিয়ে কাজ করে। টাকা কামানোর জন্য মনে হয়, তাই না। হ্যা ঠিক ধরেছি.. পরকালরে গুল্লি মার.. এই জীবনে কয়ডা টাকা কামাই কইরা লই.. এইটাই তাদের মোটিভেশন, ঠিক কইছি না? আসলেই আপনার মত জ্ঞান বুদ্ধি যদি সবার হইত টাইলে কত ভালা হইত তাই না?
মহা আফসোস.. হারুণ ইয়াহিয়া আর আপনি ছাড়া কেউ এগুলা বুঝলো না। আল্লাহ আপনার হায়ত দরাজ করুক। আমিন।

@ পিটার প্যান,

হারুণ ইয়াহিয়ার পরে বিবর্তনবাদকে মিথ্যা প্রমাণ করতে আপনার লেখার তুলনা হয় না। এই লেখা বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।


টানটা মনে হয় বেশী হয়ে গেছে! আপনার দোয়া- আশির্বাদের জন্য ধইন্যা! Cool
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

ওনার তো গ্রীনিচ বুকে নাম ওঠবো। যেভাবে বিজ্ঞানের পরাজয় আর ধর্মের জয় গান গাইছেন!

হারুণ ইয়াহিয়ারে নিয়া খুজতে গিয়া বিরাট এক অফার দেখলাম।

ঐব্যাটাতো বিবর্তনবাদীগো চ্যালেন্জ ছুড়চে: যদি কেউ কেবলমাত্র একটি ট্রান্সিশনাল ফসিলকে দেখাইতে পারে যার দ্বারা বিবর্তনবাদকে ব্যাখ্যা করা যায় তাহলে তাকে আনুমানিক ৪.৪ ট্রিলিয়ন পাউন্ড দেয়া হবে।

ঐটাকা কেন হাতছাড়া হইতেছে!!!
==========================================================
-> সাম্প্রদায়িক কথা বললেই সাম্প্রদায়িকতা না, কে বলছে সেইটাই গুরুত্বপূর্ণ!
-> ইসলাম= জামাত-শিবির, প্রচারে ফায়দা আছে!

এইত শুরু হয়ে গেছে পিছলামি smile :) :-)
একটা প্রশ্ন করছিলাম (১০ টাকা বাজি উত্তর আপনে দিবেন না): পৃথীবির কোন ধর্মগ্রন্থে কি ডাইনোসারদের কথা লেখা আছে নাকি ডাইনোসার বলে কিছু নাই সবই হলিউডের সৃষ্টি?
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়

@ হালুয়া,

একটা প্রশ্ন করছিলাম (১০ টাকা বাজি উত্তর আপনে দিবেন না): পৃথীবির কোন ধর্মগ্রন্থে কি ডাইনোসারদের কথা লেখা আছে নাকি ডাইনোসার বলে কিছু নাই সবই হলিউডের সৃষ্টি?

আপনের কি তাই মনে হয়? যদি তাই হয়, তা হলে আপনের বিশ্বাসটাই ঠিক আছে!
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।


পৃথীবির কোন ধর্মগ্রন্থে কি ডাইনোসারদের কথা লেখা আছে নাকি ডাইনোসার বলে কিছু নাই সবই হলিউডের সৃষ্টি?


ধর্মগ্রন্থে ডাইনোসরদের কথা থাকতেই হবে কেন? ধর্মগ্রন্থে তো তেলাপোকার কথাও নাই, তাতে কী প্রমাণ হলো?

--শাহবাজ


ধর্মগ্রন্থে ডাইনোসরদের কথা থাকতেই হবে কেন? ধর্মগ্রন্থে তো তেলাপোকার কথাও নাই, তাতে কী প্রমাণ হলো?

হায় হায় আপনি কি বললেন! পিছলামি শুরু করবে!
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

smile :) :-) ১০ টাকা বাজী কি এমনি এমনি ধরছিলাম!!

শুধু তেলাপোকা না পৃথিবীতে পাওয়া যায় সব ধর্মীয় গ্রন্থেই বলা আছে আলো, বাতাস, চাদ, তারা, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পোকামাকড় (খুব খিয়াল কইড়া শুধু যা চোখে দেখা যায়) এবং বৃহদাকার হাতি (ডাইনোসার না কিন্তু) সবই খোদা/ভগবান/ঈশ্বর এর সৃষ্টি

কোন ধর্মীয় গ্রন্থেই কিন্তু ব্যাকটেরিয়া বা ডাইনোসারদের কথা বলা নাই। যদিও ধর্মীয় গ্রন্থগুলা দাবী করে সেখানে সবই বলা আছে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়

তথ্যবহুল পোস্ট।
_________________________________________
বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি আমাদের গৌরব।

কম-বেশি ১০০০ জনের যে লিস্টি দিয়েছেন তাতে জীববিজ্ঞান বা সম্পর্কিত বিষয়ের কিছু বৈজ্ঞানিক থাকলেও অধিকাংশের অধিত বিষয়ের সাথে বিবর্তন বা এর বিকল্প গবেষণার সম্পর্ক নেই। অন্তত আমার জানা নেই তড়িৎ বা যন্ত্র প্রকৌশলের কিংবা জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার সাথে জীব বিবর্তন/সৃষ্টির সম্পর্ক কী। আর ওরা ১০০০ জন বিবর্তন অস্বিকার করেননি, জটিল প্রাণ সৃষ্টিতে মিউটেশনের এবং প্রাকৃতিক নির্বাচনের নির্ধারক ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এবং বিবর্তনের পক্ষে সাক্ষ্য সযত্ন যাচাই-বাছাই উৎসাহিত করা উচিত বলে জানিয়েছেন। এখানে তো বিবর্তনের বিরোধী কিছু দেখলাম না। তাঁরা যা বলেছেন তা অমূলক কিছু না। সংশয় প্রকাশ বিজ্ঞানীদের ধর্ম। প্রাকৃতিক নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে অনেক বিবর্তনবাদীরাও সন্দিহান। বিবর্তনবাদীদের মধ্যেই বিবর্তনের ব্যাখ্যার নানা বিষয় নিয়ে মতভেদ আছে। তাতে তত্ত্ব হিসাবে বিবর্তনের গুরত্ব খর্ব হয় না। এঁরা (এক হাজারি) তো কোন প্লজিবল অল্টার্নেটিভ তত্ত্ব দিতে পারছে না, যা বিদ্যমান সাক্ষ্য-নিদর্শনকে ব্যাখ্যা করতে পারে।

Nothing in biology makes sense, except in the light of evolution. -- Theodosius Dobzhansky, The American Biology Teacher.

অন্য প্রসঙ্গে, বিবর্তন নিয়ে আপনি এত নাখোশ কেন? প্রজাতির উদ্ভবে বিবর্তনের ব্যাখ্যা সম্পর্কে আপনি সন্দিহান হলে বিকল্প কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আপনার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়?

নাস্তিকতা ধর্মের পয়গম্বর কে এবং ধর্মগ্রন্থ কি? (এখানে ডকিন্সকে নিয়ে আসবেন না, অধিকাংশ নাস্তিক ডকিন্সের নাম শোনেননি, তাঁর বই পড়া তো দূরের কথা।)
__
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি সবচেয়ে বড় দুর্নীতি-- আবুল ফজল

আমুতে যারা বিবর্তনবাদ নিয়ে লিখে তারা কি সবাই বায়োলজিস্ট? বিবর্তনবাদ রকেট সায়েন্স নয়। যে কেউ শিক্ষিত লোক বুঝতে পারার কথা। যারা ঐ লিস্টে সাইন করেছে, তাদের সবাইকে বিবর্তনবাদীরা চার্চের লোক বলে ডাকে! তা হলে বুঝেন বিবর্তন মৌলবাদীদের ইনটলারেন্স! আপনার মত সবাই হলে বিবর্তনবাদ নিয়ে এত বিতর্ক হতো না। বিবর্তনবাদকে বিজ্ঞান হিসেবে দেখলে যে কেউ প্রশ্ন করতেই পারে।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

বি্বর্তনবাদ নিয়ে আমুতে যারা লেখে তারা কী তা জানি না, তবে তাঁরা যদি পদার্থবিদ, প্রকৌশলী, ব্যবসা ব্যবস্থাপক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী হন, তাহলে বিবর্তন বিষয়ে তাঁরা লেখক মাত্র, গবেষক বা বিশেষজ্ঞ নন। তাঁদের মতের গুরুত্ব সে ক্ষেত্রে আপনার-আমার মতের গুরুত্বের থেকে বেশি হবার কোন কারণ নেই।

ধারণা হিসাবে মহাকর্ষও তেমন জটিল কিছু না, তবে তার তত্ত্ব-সূত্র আবিষ্কার করতে নিউটনের মত পদার্থবিদ-গণিতজ্ঞের প্রয়োজন হয়েছেন, এবং সেগুলোর ছিদ্রান্বেষণ করতেও ঐ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগবে। একজন জীববিজ্ঞানী যদি তা করেন, তা নিতান্তই ব্যতিক্রম হবে।

আলোচ্য তালিকার বিজ্ঞানীদের কি স্বীকৃত জার্নালে বিবর্তন বিষয়ে কোন নিবন্ধ আছে?
__
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি সবচেয়ে বড় দুর্নীতি-- আবুল ফজল


একজন জীববিজ্ঞানী যদি তা করেন, তা নিতান্তই ব্যতিক্রম হবে।

আলোচ্য তালিকার বিজ্ঞানীদের কি স্বীকৃত জার্নালে বিবর্তন বিষয়ে কোন নিবন্ধ আছে


ছিদ্রান্বষনের অভিযোগ করে আপনিও সেই কাজে নিয়োজিত আছেন! লিস্ট আপনি দেখেননি। তাছাড়া আপনি যে এ বিষয়ে একবারে নতুন তা আপনার মন্তব্যে ফুটে উঠেছে!

তাঁদের মতের গুরুত্ব সে ক্ষেত্রে আপনার-আমার মতের গুরুত্বের থেকে বেশি হবার কোন কারণ নেই।

আমার সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন? না জেনেই এককাতারে ফেলে দিলেন!

আপনার জন্য প্রথম পাতা থেকে কিছু অংশ কপি-পেস্ট করলাম। যদি এদের যোগ্যতা সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা থাকত, তবে এভাবে কমেন্ট করে নিজের মূল্য কমাতেন না। ভাল থাকুন।


Paul Ashby Ph.D. Chemistry Harvard University
Israel Hanukoglu Professor of Biochemistry and Molecular Biology Chairman The College of Judea and Samaria (Israel)
Alan Linton Emeritus Professor of Bacteriology University of Bristol (UK)
Dean Kenyon Emeritus Professor of Biology San Francisco State University
John Hey Associate Clinical Prof. (also: Fellow, American Geriatrics Society) Dept. of Family Medicine, Univ. of Mississippi
Daniel W. Heinze Ph.D. Geophysics (also: Post-Doc Fellow, Carnegie Inst. of Washington) Texas A&M University
Richard Anderson Assistant Professor of Environmental Science and Policy Duke University
David Chapman* Senior Scientist Woods Hole Oceanographic Institution
Giuseppe Sermonti Professor of Genetics, Ret. (Editor, Rivista di Biologia/Biology Forum) University of Perugia (Italy)
Stanley Salthe Emeritus Professor Biological Sciences Brooklyn College of the City University of New York
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

বিবর্তন বিষয়ে বিবিসির একটা চমৎকার ভিডিও পেয়েছি ইউটিউবে। এখানে খুব সহজ একটা এক্সপেরিমেন্ট করে বোঝানো হয়েছে।




See video

____________________________

____________________________
আমি চঞ্চল হে,
আমি সুদূরের পিয়াসি
_____

জানার আছে অনেক কিছু।

সরোয়ার ভাই,
লেখা পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। চালিয়ে যান।
তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ন্যায়ের কথা বলতে আমায় কহ যে
যায় না বলা এমন কথা সহজে

হা হা হা । আবারো ছাগালাপি পোষ্ট। আর কত ভাই? আর কত??????????
======================
"ফান ইজ লাইফ টু মি"
======================

@চারবাক,


ছয় হাজার বছর আগে মিয়া বিবি আদম আর হাওয়া কাপর চোপড় পইরা আকাশ থাইক্যা ধপ্পাস্ কইরা পৃথিবীতে পইড়া


বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে সত্য প্রমাণ করার জন্য ছয় হাজার বছর আগে আদম-হাওয়াকে কাপর চোপড় পইরা আকাশ থাইক্যা ধপ্পাস্ কইরা পৃথিবীতে ফেলে দিতে হয় নাকি! Tongue

Hey theologists,
you greats are so worried about the faults(!) in evolution theory,how but about the millions of faults,superstitions,fanatism in religious statutes. How funny guys! Before proceeding to thinking of Evolution just analyse your sacred holy books,and look how many times it's wrong in sentence by sentence. I know you people are always in favour of God or His Holy books!,& unbelievably ignoring it's faults and funny beliefs.অঅঅআঅ
কঠোর সত্যের বিভীষিকায় ওগো তুমি আমার একটুখানি মিথ্যে কল্পনার ভীষণরকম প্রশান্তি ।


Hey theologists,

you greats are so worried about the faults(!) in evolution theory,how but about the millions of faults,superstitions,fanatism in religious statutes


এই পোষ্টে ধর্ম নিয়ে আলোচনা হয়নি। ধর্ম ও বিজ্ঞানের প্রেক্ষাপট ভিন্ন যেটা আমার পোষ্টের শেষ লাইন। বিজ্ঞানের খোলসে যারা ভাবধারা প্রচার করে তাদের জন্য এই পোষ্ট। আপনার মন্তব্য অনুযায়ী এটা আপনার জন্যও দরকারী।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

যত কথাই বলেন ভাই, আসলে ঈশ্বর বলতে কিছুই নাই। জীবন টাই মিছামিছি তাই মিছা ধারনা নিয়াই মরতে চাই। চক্ষু খুলিয়া দুনিয়া দেখিয়া কাজ নাই অন্ধকারেই থেকে যাই।

খুব ভাল বলিয়াছেন
কঠোর সত্যের বিভীষিকায় ওগো তুমি আমার একটুখানি মিথ্যে কল্পনার ভীষণরকম প্রশান্তি ।

ঈশ্বর নিয়ে আপনাদেরই চিন্তা বেশী! Laughing out loud এই পোষ্টে ঈশ্বরের আলোচনা করা হয়নি
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

যত কথাই বলেন ভাই, আসলে ঈশ্বর বলতে কিছুই নাই। জীবন টাই মিছামিছি তাই মিছা ধারনা নিয়াই মরতে চাই। চক্ষু খুলিয়া দুনিয়া দেখিয়া কাজ নাই অন্ধকারেই থেকে যাই।

জানতাম না,জানলাম
বুঝতাম না,বুঝলাম
সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।

@পোস্ট লেখক,

প্রথম পুরুষ/নারী (এডম/ইভ) দেখতে কেমন ছিল? সে কি চাইনিজ দের মত ছিল নাকি আফ্রিকান? গায়ের রঙ আমাদের মত শ্যমলা নাকি ফিরিঙ্গিদের মত সাদা ছিল? যদি মধ্যপ্রাচ্যের একজন পুরুষ/নারী থেকেই আমদের বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে তাহলে কেন মানুষের এত ভ্যারিয়েশন আজকে?

(এইবার ২০ টাকা বাজি!!)
-----------------------------------------------------------------------------------------------
শুধু চারটা পা থাকলেই গাধা হওয়া যায় না তার জন্য একটা সালোয়ারও দরকার হয়

আমারব্লগ থেকে আপাতত বিরতি নিচ্ছি। এজন্য মন্তব্যের অপশন বন্ধ রাখা হলো। দুঃখিত।
****************************


ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব।